সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর হাজারো নেতাকর্মীকে ফাঁসি দিয়েছেন, বছরের পর বছর জেলে বন্দি করে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিচার করার জন্য মিথ্যা মামলার প্রয়োজন হবে না। তিনি যে অপরাধ করেছেন সেই অপরাধের দায়ে তার ১০০ বার ফাঁসি দেওয়া যেতে পারে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
’
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌর টাউন হলে এক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আমির আব্দুল মতিন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘একদিকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা, আরেক দিকে বুক পেতে দেওয়া উত্তরবঙ্গের আবু সাঈদের নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশ। সেই হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হলো আর হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আবু সাঈদের বাংলাদেশ বিজয়ী হলো।
আবু সাঈদ বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি লাভ করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘৫ আগস্ট রক্তাক্ত বাংলাদেশের ওপর মানুষ ঈদের আনন্দ করেছে। আজকে তারা এই রক্ত দিয়ে ঋণী করে রেখে গেল। সেই ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।
এই শহীদরা সেই দিন স্বার্থক হবেন, যেদিন তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারব।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে বিচারপতিদের দিয়ে, আনসারদের দেশে অন্তর্বর্তীকালেন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। এখনো প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পেতাত্মারা ঘাপটি মেরে আছে। এসব পরিষ্কার করে দেশপ্রেমীদের নিয়োগ দিতে হবে।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি।
এই স্বাধীনতা আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। এখনো দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনে ১৫ বছরের দলবাজ আমলাদের পরিষ্কার করে তারপরে নির্বাচন দিতে হবে। তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। দেশ সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন চাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম।
সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ চারজনের পরিবারের হাতে দুই লাখ টাকা করে অনুদান তুলে দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারিসহ অন্য নেতারা। পরে আন্দোলনে শহীদদের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন