পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক বাস্তবায়ন নিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চার নেতার তিন জন প্রায় একই মতামত দিলেও ভিন্ন মত দিয়েছেন একজন। এ নিয়ে কথা হয়, রাঙ্গামাটির আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সঙ্গে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় চাইলেও তিনি ব্যস্ততার কারণে সময় দেননি। তবে শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে তার সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বক্তব্য রেখেছেন। সেই আলোচনা সভাতেই তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি নিয়ে তার মতামত তুলে ধরেন।
সন্তু লারমা
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দিবস উপলক্ষে শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেন, দেশের সরকার ও শাসকগোষ্ঠীকেই এ চুক্তি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সরকার ও শাসকগোষ্ঠী এই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে যে অবস্থানে আছে, সেখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে সচেষ্ট হতে হবে। যদিও সেই আশা বাস্তবতায় রূপ নেবে না। তবুও সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকটাকে বজায় রাখতে চাই। তিনি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন।
দীপংকর তালুকদার
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান সমস্যা নিয়ে শুধু আমরা নই, এখানে তিনটা সরকার অর্থাৎ এরশাদ সরকার, বিএনপি সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকার— সবাই চেষ্টা করেছে বিরাজমান সমস্যার সমাধানের জন্য। এরশাদ হয়তো পারেননি। তবে তিনি একটা স্ট্রাকচার দিয়ে গেছেন। যে স্ট্রাকচারের ওপর ভিত্তি করে আমরা এই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিটি সই করতে সক্ষম হয়েছি। বিএনপি সরকার এ বিষয়ে কিছুই দিতে পারেনি। রাজনৈতিকভাবে তাদের আন্তরিকতা কিংবা সদিচ্ছারও অভাব ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সাহস ও রাজনৈতিক বিজ্ঞতার কারণে আমরা ১৯৯৭ সালে একটা চুক্তি করতে পেরেছি— যেটা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নামে পরিচিত। এটাকেই আমরা শান্তি চুক্তি হিসেবে জানি। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬ বছর হয়ে গেছে। এ চুক্তির জন্য জনসংহতি সমিতি নিজেদের একক কৃতিত্ব দাবি করতে পারে না। আমরাও পারি না। এর সঙ্গে জনগণের বড় সম্পৃক্ততা আছে। এ চুক্তি সম্পাদনের পেছনে গণমাধ্যমেরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
দীপংকর তালুকদার বলেন, বিগত ২৬ বছরে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়াটা খুবই দুঃখের ও কষ্টের। ব্যক্তিগতভাবে আমি যেহেতু এটার সঙ্গে জড়িত ছিলাম, সেজন্য এ চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়াটাও আমার জন্য একটা যন্ত্রণার। চুক্তি স্বাক্ষরকারী একটা পক্ষ বলবে যে, সরকারের আন্তরিকতা নাই, এই নাই, সেই নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের কথা তারা বলুক। আমি বলছি যে, কেনও বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিই পৃথিবীতে একমাত্র চুক্তি নয়। এর আগে পৃথিবীতে আরও অনেক চুক্তি হয়েছে। ভবিষ্যতেও চুক্তি হবে। আমাদের চুক্তির পরপরই হয়েছে বেলফাস্ট চুক্তি। উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাস্টে ১৯৯৮ সালের ১০ এপ্রিল ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে যে চুক্তি হয়— সেটাই বেলফাস্ট চুক্তি। কথা ছিল, রোড ম্যাপ ছিল, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বেলফাস্ট শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। অথচ ২০২০ সাল নাগাদ মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ভাগ চুক্তি তারা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। পরে তারা আবার সময় নিলো। বর্তমানে সম্ভবত বেলফাস্ট চুক্তির ৯৭ ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় তারা উভয়পক্ষ মনে করছে— বাকি শর্তগুলো বাস্তবায়নের দরকার নেই। আমাদের পরে চুক্তি হয়েছিল নেপালে। তখনকার সরকারের সঙ্গে যিনি চুক্তি করেছিলেন তিনি হচ্ছেন, পুস্পকমল দাহাল। যিনি প্রচণ্ড নামে সমধিক পরিচিত। পরবর্তীকালে এই পুস্পকমল দাহাল তিন বার নেপালের রাষ্ট্রপতি ও তিন বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বর্তমানেও তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এই ভদ্রলোক ইনসার্জেন্সির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যেমন করে সন্তু লারমা দিয়েছিলেন। দফায় দফায় সরকারের নেতৃত্বে থাকার পরও পুস্পকমল দাহাল তার চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারেননি বর্তমান বাস্তবতার কারণে। তার কী তাহলে আন্তরিকতা নেই? নিশ্চয়ই আছে। আন্তরিকতার অভাবে নয়, কিছু বিরাজমান বাস্তবতার পরিস্থিতির কারণে তিনি শতভাগ হয়তো পারেননি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে আগের তুলনায় অনেক বেশি কনফিডেন্স তৈরি হয়েছে। পাহাড়িরা এখন আর বলে না— আবার তাদের পাহাড়ে যেতে হবে। না খেয়ে মরতে হবে। তারা এখন বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। পাহাড়িদের এখন গাড়ি কেনার সক্ষমতা হয়েছে। ৯৮ সালে লংঘদুতে যারা অভ্যন্তরীণভ উদ্বাস্তু হয়েছিল, তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। তারা এখন বলছে, এখানেই থাকবে। এই যে সাহস ও কনফিডেন্স, সেটা পার্বত্য চুক্তির ফলেই হয়েছে।
দীপংকর তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, যারা চুক্তি করেছে, যারা চুক্তি মানে তারাই তো চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। আর যারা মানে না তারা কীভাবে চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। চুক্তি বাস্তবায়নের বড় প্রতিবন্ধকতা হলো— ২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে যোগসাজশ করে জনসংহতি সমিতির নির্বাচন করা। এতে করে বিশ্বাস ও আস্থাবোধ বলতে যেটা বুঝায়, সেটা তারা নিজেরা নষ্ট করেছে। এরপর তাদের লক্ষ্য হচ্ছে— আওয়ামী লীগকে পার্বতাঞ্চল থেকে নিশ্চিহ্ন ও উচ্ছেদ করা। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করলে চুক্তি বাস্তবায়ন করবা কাদের দিয়ে? তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এখানে তারা ছাড়া আর কেউ থাকবে না। এখানে অন্য কারও কথা থাকবে না। অবস্থান থাকবে না। তারা যা বলবে, সেটাই সঠিক। তারা কথা বলবে শুধু কেন্দ্রের সঙ্গে। আর কেন্দ্র বলছে যে, আমাদের তো স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সংগঠন আছে। আমাদের এমপি, মন্ত্রী আছে। তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না? এই যে ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে তাদের ঘাস খাওয়ার প্রবণতা, সেটাও অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। তৃতীয়ত, আওয়ামী লীগের মানুষগুলোকে হত্যা করা। তিন পার্বত্য জেলায় তারা কতগুলো মানুষকে হত্যা করেছে।
দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের বড় সমস্যা হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। এখানে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো নিত্য টহল দিচ্ছে বলে আমরা ভালো আছি। শতভাগ ভালো আছি সেটা বলবো না। কিন্তু ভালো যতখানি আছি, সেটা সেনাবাহিনীর কারণেই আছি। যেকোনও সময়ের চেয়ে ভালো আছি। চাঁদাবাজি কিছুটা কমেছে। সশস্ত্র গ্রুপগুলো অনেকটাই কোনঠাসা অবস্থায় আছে। আগের মতো অবস্থায় তারা নেই। বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তাদের এসব আচরণের কারণে দূরত্ব বেড়েছে। সেটা কাছাকাছি আনতে না পারলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হবে না। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নষ্ট করে কিছু হয় না। আপনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারবেন, দাবড়াবেন। আর আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা কী বলবেন— আমার নেতাকর্মীরা মরুক, জাহান্নামে যাক, কোনও সমস্যা নেই, চুক্তি বাস্তবায়ন করো! উনি কি এটা বলতে পারেন? এখানেই আস্তার ঘাটতি। আওয়ামী লীগের মতো একটা জনপ্রিয় দলকে খতম করতে পারলে তারা এখানে সুবিধা করতে পারবে। অন্য কোনও দল এখানে জনপ্রিয়তা অর্জন করলে তারাও তাদের টার্গেট হতো। তখন আওয়ামী লীগ হতো না। জনসংহতি মনে করে, তারাই একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী দল। তারা যা বলবে এখানে তাই হবে। যার কারণে মারামারি ও সংঘাতগুলো হচ্ছে। এগুলোই প্রতিবন্ধকতার মূল কারণ। সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। আন্তরিকতার অভাব তাদের নিজেদের।
সুপ্রদীপ চাকমা
সাবেক কূটনীতিক ও বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে চিন্তা-চেতনা কাজ করছে, সেটা সম্পর্কে আমরা পাহাড়ি-বাঙালি সবাই জানি। তিনি দেশের অন্যান্য এলাকার জন্য যা করছেন, তার চেয়ে বেশি করছেন এই এলাকার জন্য। সরকার এত বেশি দিতে চায় যে, নানা কারণে আমরা তা নিতে পারছি না। আমাদের নেওয়ার যোগ্যতা নেই। সীমান্ত সড়কসহ পাহাড়ের ঢালে ঢালে সড়কের যে উন্নয়ন হয়েছে, অন্যান্য খাতে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে, এ অঞ্চলের মানুষ কখনই এত উন্নয়ন হবে ভাবেননি। এটা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির ফলেই হয়েছে। আর এখন এ অঞ্চলের মানুষ চুক্তির কী হলো না হলো সেটা নিয়ে ভাবেন না। একটা অঞ্চলের জন্য কানেকটিভিটি যে কী প্রয়োজন, সেটা আমরা বুঝি। এখন সেই কানেকটিভিটি বা যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আরও হবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের সার্বিক উন্নতি হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, কারও কোনও চিন্তা করার কারণ নেই যে, এটা বাস্তবায়ন হয়েছে ওটা হয়নি। সবক্ষেত্রেই দুটো পক্ষ থাকে। দুপক্ষই দুধরনের কথা বলেন। সরকারের আন্তরিকতার সঙ্গে অপর পক্ষকেও আন্তরিক হতে হবে। উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
অংসুই প্রু চৌধুরী
শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তিতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে একটা অশান্ত পরিস্থিতি ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদন করেছেন। এর ফলে এখানে যে অশান্ত পরিস্থিতি ছিল— পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে বিভেদ ছিল, সম্প্রীতি ছিল না, সেটা এখন আর নেই। পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা পাহাড়ি-বাঙালি পরস্পর সম্প্রীতির বন্ধনে বসবাস করছি। পরস্পরের মধ্যে অনাস্থা-অবিশ্বাস কমে এসেছে। আগের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। শান্তিচুক্তির কারণে পার্বত্য মন্ত্রণালয় সৃষ্টি হয়েছে। জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ সৃষ্টি হয়েছে। পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্যই এসব করা হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ল্যান্ডসহ ৩০টি বিভাগ ও দফতরকে সরকার আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি ও সমন্বয় করে সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করছি।
পার্বত্য এলাকায় সহিংসতা ও হানাহানির বিষয়ে অংসুই প্রু চৌধুরী আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের একটি উদ্দেশ্য থাকবে। আঞ্চলিক সংগঠনগুলো যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, সেটাতে মনে হয় না তাদের ভালো কোনও উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য আছে। আমরা দেখছি, তারা চাঁদাবাজি, অপহরণ, নিজেদের মধ্যে সংঘাত প্রাধান্য পাচ্ছে। তারা যদি মানুষের অধিকারের জন্য সংগঠন করে থাকে, তাহলে নিজেদের মধ্যে হানাহানি, মারামারি, অপহরণ ও চাঁদাবাজি কেন? গণতন্ত্রের ওপর হস্তক্ষেপ কেন? আমরা বাংলাদেশে বসবাস করছি। গণতান্ত্রিক একটা দেশ। গণতন্ত্র চর্চার এখন পরিবেশও বিদ্যমান। কারও কোনও দাবি থাকলে সেটা বলতে পারেন। রাজপথে কিংবা সামনাসামনি।
তিনি বলেন, যদিও আঞ্চলিক সংগঠনগুলো অস্বীকার করে যে, তারা চাঁদাবাজি করে না, সহিংসতা করে না। তাহলে এগুলো কারা করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বার্থে যদি তোমরা রাজনীতি করে থাকো, তাহলে যারা এসব করে, সেইসব সন্ত্রাসীকে দমনে তোমরা এগিয়ে আসো। প্রশাসনের তো যথেষ্ট সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা আছে, এখানে শান্তি রাখার জন্য। কিন্তু দুর্গমতার কারণে অনেক এলাকায় এখনও সেটা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তারা তো দুর্গম এলাকায় বসবাস করে। তারা কেন চিহ্নিত করতে পারছে না, সেটা দমন করছে না। সবাই বলে আঞ্চলিক সশস্ত্র গ্রুপগুলো এসব করে। তারা একবাক্যে অস্বীকার করে যে, তারা এসবের মধ্যে নেই। তোমরা না পারলে নিরাপত্তা বাহিনীকে বলো। এ অঞ্চলে যদি অস্ত্রধারীদের দৌরাত্ম না থাকতো, তাহলে আমরা আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতাম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন