বোনের শ্বশুরবাড়ি যাবেন আশরাফুল ইসলাম। পরীবাগের বাসা থেকে বেরিয়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়ান বাংলামোটরে। বেলা ১২টার দিকে আধাঘণ্টা অপেক্ষা করেও তিনি পাননি মতিঝিলগামী বাস কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা। আধাঘণ্টার অপেক্ষা শেষে বাস পেয়ে সেটিতে চড়েন এই ব্যাংক কর্মকর্তা।
শনিবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এই ঈদ ঘিরে আগে-পরে মিলিয়ে পাঁচ দিনের লম্বা ছুটির অবকাশ। এই ছুটির সময়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়ানো ঈদের অন্যতম আচার।
রাজধানীতে যারা আছেন তারা কোথাও না কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন। যাদের নিজস্ব পরিবহন নেই তারা বাসা বা বাড়ি থেকে বের হয়ে পরিবহন বিড়ম্বনাই পড়ছেন। আশরাফুল ইসলামের মতো অনেককেই গন্তব্যে যেতে রাস্তায় দীর্ঘ সময় পরিবহনের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হওয়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে শনিবার তেমন একটা গাড়ি নেই বললেই চলে। ব্যক্তিগত গাড়ি বা প্রাইভেট কার বাদ দিলে গণপরিবহনের সংখ্যাও অত্যল্প। সিএজিচালিত অটোরিকশা থাকলেও তাও কম। ফলে পরিবহন গিজগিজ ঢাকার চিরচেনা রাস্তার সেই চিত্র যেমন নেই, তেমনি নেই যানজটও।
ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গত বুধবার থেকে চলছে সরকারি ছুটি। নাড়ির টানে রাজধানী ছেড়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। ফলে ঢাকা এখন প্রায়ই ফাঁকা, কোথাও নেই কোনো যানজট।
শাহবাগ, বকশিবাজার, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শ্যামলী, কল্যাণপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে সকালে ঈদের নামাজ শুরুর আগে প্রায় গাড়িশূন্য সড়কে নামাজ শেষে দীর্ঘ সময় পর পর গাড়ি চলাচল করছে।
নামাজের আগে সড়কে মানুষের উপস্থিতি খুব একটা না থাকলেও নামাজ শেষে উপস্থিতি বেড়েছে। কেউ কেউ পরিবারের সঙ্গে বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে, কেউবা আবার আত্মিয়ের বাসাই ঘোরার উদ্যেশে বের হয়েছেন।
রাজধানীর শ্যামলীর সাইদুল ইসলাম। নামাজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যাওয়ার উদ্যেশে বের হয়েছেন। তিনি বলেন, নামাজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তাই দাড়িয়ে থেকেই ঘুড়তে যাওয়ার ইচ্ছা শেষ হয়ে গেছে। অনেক সময় দাড়িয়ে থেকেও গাড়ির দেখা মিলছে না।
উত্তরা থেকে মগবাজার এসেছেন চাকরিজীবী আসিফ হোসেন। জানান, বাস না পেয়ে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে অফিসে আসতে হয়েছে তাকে।
এদিকে বাস কেন কম জানতে চাইলে বকশিবাজার মোড়ে দাঁড়ানো ঠিকানা পরিবহনের চালকের সহকারি রিপন মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ঈদের সময় যাত্রী পাওন যায় না। তাই বেশির ভাগ বাসই রাস্তায় নামে নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবার ড্রাইভার হেলপারদের অনেকেই বউ বাচ্চার লগে ঈদ করতে গ্রামে গেছে। এইটাও একটা কারণ।’
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন