আপনি কি বিশ্বাস করেন? ঢাকা শহরে অনুমোদিত বাসের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৮টি? বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির—বিআরটিএর সর্বশেষ যে তালিকা ঢাকাটাইমসের হাতে এসেছে তা পর্যালোচনায় এমন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে।
যদিও চোখে দেখা এবং পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ হাজার বাস চলছে রাজধানী ঢাকায়। তাহলে কি রুট পারমিট ছাড়াই রাজধানীতে এতগুলো বাস চলছে? নাকি পরিবহন কোম্পানির নামে যতগুলো বাসের পারমিট দেওয়া হয়েছে এর বেশি বাস তারা চালাচ্ছে?
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহও পারমিট ছাড়া বেশি বাস চলার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলছেন, অভিযোগ পেলেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী যাত্রী হররানি বন্ধ করার পাশাপাশি কোন সড়কে কত বাস চলে, কতগুলো বাস দরকার এবং যাত্রীর চাপ কি রকম এসব বিষয়ে সরকারকে গবেষণা করার আহ্বান জানান। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ঢাকা সিটিতে চলাচরকারী বাসের পারমিট দেয় বিআরটিএ। আমরা শুধু আইন অনুযায়ী শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করি।’
বিআরটিএর সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, রুট নম্বর এ-১০১ এ কালসী (মিরপুর-১২) থেকে কাঁচপুর ব্রীজ পর্যন্ত চলাচল করা শিকড় পরিবহনের অনুমোদিত বাসের সংখ্যা ১০৪টি। এ-১০২ রুটে পল্লবী (মিরপুর-১২) থেকে সদরঘাটে চলাচলকারী মিরপুর ইউনাইটেড সার্ভিস লিমিটেডের বাসের সংখ্যা ২৬টি।
এ-১০৫ রুটে পল্লবী (দুয়ারীপাড়া) থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত চলাচলকারী সেফটি এন্টারপ্রাইজের বাস ৩৪ টি। এ-১১০ নম্বর রুটে পল্লবী (দুয়ারীপাড়া) থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত চলাচল করা আশির্বাদ পরিবহনের ২০টি বাস। এ-১১১ পল্লবী (সিরামিক) থেকে নটরডেম কলেজ পর্যন্ত চলাচলকারী বিকল্প অটো সার্ভিস লিমিটেডের বাসের সংখ্যা ৬৯টি।
এ-১১৪ রুটে চিড়িয়াখানা থেকে সায়দাবাদ পর্যন্ত চলাচল করা দি নিউ ভিশনের ৪০টি। এ-১১৫ নম্বর রুটে মিরপুর-১(বৈশাখী সুপার মার্কেট) থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করা ট্রান্স সিলভা (বিডি) লিমিটেডের ৪৩টি। এ-১১৯ নম্বর রুটে দুয়ারীপাড়া থেকে ভিক্টোরিয়া পার্কে চলাচলকারী বিহঙ্গ পরিবহনের ৫৪টি। এ-১২২ রুটে মিরপুর-১২ (ইসিবি মোড়) থেকে আজিমপুর পর্যন্ত মিরপুর সুপার লিংকের ৪৫টি, এ-১২৭ নম্বর রুটে মিরপুর মাজার রোড থেকে আজিমপুর পর্যন্ত চলাচলকারী মেট্রোলিংকের ৩০টি, এ-১২৯ নম্বর রুটে মিরপুর-১৪ থেকে খিলগাঁও-তালতলা পর্যন্ত চলাচলকারী বাহন পরিবহনের ৩৫টি, এ-১৩১ নম্বর রুটে মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে সদরঘাট পর্যন্ত তানজিল পরিবহনের ৫০টি বাসের অনুমোদন আছে।
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, ১৫ মিনিটে একমুখী সড়কে পরপর শতাধিক বাস গন্তব্যের দিকে ছুটেছে। শাহবাগ মোড়ে সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, বাংলামোটর-কারওয়ান বাজারের দিকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বিভিন্ন পরিবহনের শতাধিক বাস যাত্রী উঠিয়েছে।
এছাড়া এ-১৩২ নম্বর রুটে বাইপাইল থেকে আবদুল্লাহপুর (নতুন জেলখানা) পর্যন্ত চলাচল করা এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহনের ২২২টি, এ-১৩৭ নম্বর রুটে বালুঘাট থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত চলাচল করা এলাইক ট্রান্সপোর্টের ২১টি, এ-১৩৮ নম্বর রুটে উত্তরা (রানীগঞ্জ) থেকে সদরঘাট পর্যন্ত চলাচল করা ভিক্টর পরিবহন বাস মালিক সমিতির ৯টি।
এ-১৪১ রুটে বনশ্রী থেকে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ পর্যন্ত চলাচল করা আলিফ এন্টারপ্রাইজের ২৩টি, এ-১৪২ রুটে পীরজঙ্গী মাজার থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত চলাচল করা ৬নং মতিঝিল বনানী ট্রান্সপোর্ট কোং লিমিটেডের ২৬টি। এ-১৪৫ নম্বর রুটে গাবতলী থেকে ভিক্টোরিয়া পার্ক রুটে বিভিন্ন নামে ৬২টি। এ-১৫৭ নম্বর রুটে বনশ্রী থেকে মোহাম্মদপুর চলাচর করা তরঙ্গ প্লাস ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ২০টি।
এ-১৬০ রুটে মোহাম্মদপুর (জাপান গার্ডেন সিটি) থেকে পোস্তাগোলা পর্যন্ত চলাচল করা রুধনু পরিবহনের ১১টি। এ-১৬১ নম্বর রুটে ঘাটারচর থেকে ধুপখোলা পর্যন্ত চলাচল করা মালঞ্চ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ২০টি। এ-১৬৬ রুটে মোহাম্মদপুর থেকে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং পর্যন্ত তরঙ্গ বাং কোং লিমিটেডের ১৯টি। এ-১৭১ রুটে খিলগাঁও তালতলা থেকে ছোট ভাওয়াল পর্যন্ত চলাচল করা মিডওয়ে পরিবহনের ১৮টি।
এ-১৭৩ রুটে বাবুবাজার ব্রিজ থেকে ধউর ব্রীজ পর্যন্ত চলাচল করা প্রচেষ্টা পরিবহনের ৩০টি। এ-১৮২ নম্বর রুটে মিরপুর-১৪ থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত চলাচল করা আলিফ এন্টারপ্রাইজের ৯০টি, এ-১৯২ রুটে সাভার (ইপিজেড) থেকে লিংক রোডে চলাচল করা লাব্বায়েক ট্রান্সপোর্টের ৫৪টি বাসের অনুমোদন দেওয়া আছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহর দাবি, বর্তমানে ঢাকা শহরে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি সংখ্যক বাস চলছে। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, বিআরটিএ থেকে আরও বেশি বাস চলাচলের জন্য পরমিট নেওয়া থাকলেও এখন সব বাস চলাচল করে না।’
কোনো কোনো কোম্পানি পারমিট নেওয়া বাসের চেয়েও বেশি বাস চালানোর বিষয়ে এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ আছে। যারা এ ধরনের অনিয়ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
সম্প্রতি কোন পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এ মহাসচিব বলেন, ‘সম্প্রতি বলতে প্রায় প্রতিদিনই এমন অভিযোগ আসে। আর বিআরটিএর ভ্রাম্যমান আদালত এবং ম্যাজিস্টেটকে বলা আছে বিষয়গুলো আমলে নিতে। তারা অভিযান চালিয়ে ডাম্পিং করে, জরিমানা করে।’
রাজধানী ঢাকার জন্য পারমিট পাওয়া পরিবহন পর্যাপ্ত মনে করেন কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ঢাকার জন্য এই পরিবহনগুলো পর্যাপ্ত না হলেও কমও নয়। পরিবহনগুলো যদি সময়মত সঠিক টাইমে ট্রিপ দিতে পারতো তাহলে অনেকটায় যাত্রী ভোগান্তি কমতো।’
‘কিন্তু যানজটের কারণে বাসগুলো সময়মত চলতে পারে না। রাস্তায় বাসগুলো আটকে থাকে। যার জন্য যাত্রীও আটকে থাকে। বিশেষ করে অফিস টাইমে এই সমস্যাটা বেশী হয়’—যোগ করেন এনায়েত উল্যাহ।
নতুন করে বিআরটিএ বাসের অনিুমোদন দিচ্ছে না জানিয়ে এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ‘বর্তমানে নতুন করে আর কোনো বাসের পারমিট দেওয়া হচ্ছে না। মেয়র সাহেব এটা বন্ধ রেখেছেন। তবে আমরা আবেদন করেছি যাত্রী ভোগান্তি কমাতে নতুন করে আরও বাসের পারমিট দেওয়ার জন্য। যদিও আপাতত নতুন করে বাসের পারমিট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
বিআরটিএর সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, ‘এ-২০২ নম্বর রুটে সাভার থেকে আমুলিয়া স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত চলাচলকারী আলিফ এন্টারপ্রাইজের নামে চলে ৬৬টি বাস। এছাড়া এ-২০৭ রুটে টঙ্গী (চেরাগ আলী থেকে) ঢাকেশ্বরী পর্যন্ত চলাচল করা ভিআইপি অটোমোবাইলসের ৬৬টি। এ-২১৯ নম্বর রুটে ফুলবাড়িয়া থেকে কাপাসিয়া পর্যন্ত চলাচল করা প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন লিমিটেডের ৬১টি। এ-২২০ নম্বর রুটে ফুলবাড়িয়া থেকে শ্রীপুর (বরমী) পর্যন্ত প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন লিমিটেডের ১১৮টি, এ-২২১ নম্বর রুটে ফুলবাড়িয়া থেকে গাজীপুর পর্যন্ত চলাচলকারী গাজীপুর পরিবহনের ২০৫টি, এ-২২৪ রুটে ফুলবাড়িয়া (ঢাকা) থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত চলাচলকারী শুভযাত্রার ১২২টি। এ-২২৫ রুটে সায়েদাবাদ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বলাকা সার্ভিসের ১৪২টি। এ-২২৮ রুটে সায়েদাবাদ থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত চলাচলকারী বোরাক পরিবহনের ৪১টি, এ-২২৯ নম্বর রুটে সায়েদাবাদ থেকে নারায়ণগঞ্জ এ-২৩০ নম্বর রুটে আদমজী থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত কোমল মিনিবাসের ১০টি।
এ-২৩৪ নম্বর রুটে মদনগঞ্জ থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত চলাচল করা শ্রাবণ ট্রান্সপোর্টের ২৩টি, এ-২৩৬ নম্বর রুটে সায়েদাবাদ থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করা উৎসব ট্রান্সপোর্টের ৯টি। এ-২৪০ নম্বর রুটে কাঁচপুর ব্রীজ হতে টঙ্গী বাস্তহারা পর্যন্ত চলাচলকরা অনাবিল সুপারের ৫১টি। এ-২৪৩ নম্বর রুটে ধলেশ্বরী থেকে টঙ্গী বাস্তুহারা পর্যন্ত চলাচল করা গ্রেট তুরাগ এবং ছালছাবিলের ২২০ এবং ৫০টি বাস। এ-২৪৫ রুটে মদনপুর থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত চলাচল করা হিমালয় পরিবহনের ৪০টি বাসের অনুমোদন আছে।
রাজধানীর এ-২৪৯ নম্বর রুটে ফুলবাড়িয়া থেকে খাশিয়াখালী বেড়িবাঁধ চলাচলকরা এন, মল্লিক পরিবহনের অনুমেদিত ৩২টি বাস। এ-২৫২ রুটে ভুলতা থেকে কলাবাগান চলাচল করা মেঘলা ট্রান্সপোর্টের ৫৯টি। এ-২৫৫ রুটে সায়েদাবাদ থেকে সোনারগাঁও (মেঘনাঘাট) পর্যন্ত চলাচল করা দোয়েল লিমিটেডের ১৫টি। এ-২৫৬ রুটে চাঁনখাওপুল থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত স্বদেশ পরিবহন কোম্পানী লিমিটেডের ২৫টি। এ-১৫৭ রুটে কাঁচপুর ব্রীজ থেকে বোর্ডবাজার পর্যন্ত চলাচল করা ট্রান্স সিলভা (বিডি) লিমিটেডের ২৩টি। এ-২৫৯ রুটে পলাশী থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত চলাচল করা বোরাক ট্রান্সপোর্টের ৫৮টি। এ-২৬০ নম্বর রুটে ফুলবাড়িয়া (পশু হাসপাতাল) থেকে ধামরাই পর্যন্ত চলাচল করা ধামরাই লিংক লিমিটেডের ১২০টি।
এ-২৬৪ রুটে মিরপুর (চিড়িয়াখানা) থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করা দিশারী পরিবহনের ৬৩টি। এ-২৬৫ নম্বর রুটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত চলাচল করা গ্লোরি এক্সক্লুসিভের ৩৭টি। এ-২৬৬ রুটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত চলাচল করা আজমেরী ট্রান্সপোর্টের ৪৭টি। এ-২৭০ রুটে বসিলা থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত চলাচল করা প্রজাপতি পরিবহনের ১৫২টি। এ-২৭১ রুটে গাবতলী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চলাচল করা বসুমতি পরিবহনের ৯০টি। এ-২৭৩ রুটে গাবতলী থেকে মেরাদিয়া বাজার পর্যন্ত চলাচল করা রবরব পরিবহনের ৯৪টি, এ-২৭৮ রুটে মিরপুর-১ (সনি সিনেমা হল) থেকে বেরাইদ পর্যন্ত চলাচল করা ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেসের ২০টি, এ-২৮০ রুটে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করা ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেসের ৪২টি। এ-২৮৫ রুটে চিড়িয়াখানা থেকে কেরানীগঞ্জ(নতুন জেলখানা) পর্যন্ত চলাচল করা এভারেস্ট পরিবহনের ১৮টি। এ-২৮৮ রুটে মিরপুর -১২ থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করা হিমাচল এন্টারপ্রাইজের ৩০টি বাস চলাচল করার কথা জনিয়েছে বিআরটিএ।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ঢাকা শহরে ছয় হাজারের মতো বাসের পারমিট থাকলেও এখন পাঁচ হাজারের মত বাস চলে।’
যাত্রী কল্যাণ সমিতি কোনো প্রকার জরিপ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠন থেকে কোনো প্রকার জরিপ করা হয়নি। তবে যাত্রী হয়রানী কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সরকারের।’
তবে বিআরটিএ থেকে পারমিট নেওয়ার চেয়ে বেশি বাস অনেক কোম্পানি চালায় এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এরকম হলেতো সঠিক পরিসংখ্যানই করা সম্ভব না যে কতগুলো বাস রাজধানী ঢাকায় চলাচল করে। তবে আমার মনে হয় খুব বেশি বাস চলাচল করে না।’
ঢাকা শহরে আরও গণপরিবহন নামানো দরকার কি না প্রশ্নে এই মহাসচিব বলেন, ‘আসলে আমাদের শহরের সড়কে একটা বিশৃঙ্খলা আছে। এখানে কোন রুটে সঠিক কতগুলো বাস চলছে, কি পরিমাণ বাসের প্রয়োজন আছে, কোন রুটে যাত্রী পরিমান কত এসব বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নাই। এ বিষয়ে গবেষণা দরকার। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকার বা বিআরটিএর কোনো গবেষণা নাই।’
‘যাত্রী হয়রানি কমাতে এ ধরণের গবেষণা প্রয়োজন। পাশাপাশি যাত্রী সেবার মান বাড়াতে হবে। পরিবহনে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বাসের সরকারী, সুপারভাইজার দ্বারা প্রতিনিয়ত ঘটা বিভিন্ন ভোগান্তি কমাতে হবে। সার্বিক যে অব্যস্থাপনা সেটা ঠিক করতে হবে।’—বলেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
এছাড়া এ-২৮৯ নম্বর রুটে বাবুবাজার থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত চলাচল করা প্রত্যয় ট্রান্সপোর্টের ১৯টি। এ-২৯২ রুটে মোহাম্মদপুর মিয়া মসজিদ থেকে সাভার পর্যন্ত চলাচল করা মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজের ৫৩টি। এ২৯৪ রুটেজাপান গার্ডেন সিটি থেকে ধউর পর্যন্ত চলাচল করা মেসার্স ভূইয়া এন্টারপ্রাইজের ৫০টি। এ-২৮৫ রুটে মিরপুর-১২ থেকে মাওয়া পর্যন্ত চলাচল করা স্বাধীন পরিবহনের ৪৪টি বাস। এ-২৯৭ রুটে সাভার থেকে বনশ্রী পর্যন্ত চলাচল করা অগ্রদূত লিমিটেডের ২৮টি। এ-২৯৯ নম্বর রুটে আটিবাজার থেকে ধউর পর্যন্ত চলাচল করা আর্ক ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর ১৩টি। এ-৩০১ রুটে জাপান গার্ডেন সিটি থেকে ধউর পর্যন্ত চলাচল করা তেতুলিয়া পরিবহনের ৭৯টি।
এ-৩০২ রুটে সাভার থেকে কুড়াতলী পর্যন্ত চলাচল করা রইচ পরিবহনের ২৩টি, এ-৩০৩ নম্বর রুটে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে নন্দন পর্যন্ত চলাচল করা তাসিন এন্টারপ্রাইজের ১৩টি বাস, এ-৩০৪ রুটে বসিলা থেকে ধউর পর্যন্ত চলাচল করা অভিজাত ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ৩৩টি, এ-৩০৭ রুটে মিরপুর-১৪ থেকে নন্দনপার্ক পর্যন্ত চলাচল করা ইতিহাস পরিবহনের ৪৯টি, এ-৩০৯ রুটে সদরঘাট থেকে ইপিজেড পর্যন্ত চলাচল করা সাভার পরিবহন লিমিটেডের ৮৩টি, এ-৩১০ নম্বর রুটে মিরপুর রুপনগর থেকে খিলগাঁও বাস স্টপেজ পর্যন্ত চলাচল করা ল্যামস পরিবহনের ৩৫টি এবং এ-৩১৪ রুটে হেমায়েতপুর থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত চলাচল করা অছিম পরিবহনের ৬২টি বাস চলাচল করে।
গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি পয়েন্ট নিউমার্কেট মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, আজিমপুর থেকেও রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে ১৫ মিনিটের মধ্যে শ খানেক বাস ছেড়ে গেছে।
রাজধানীর এ-৩১৫ রুটে হেমায়েতপুর খেকে কামারপাড়া পর্যন্ত চলাচল করা ঠিকানা এক্সপ্রেসের গাড়ির সংখ্যা ৩৪টি, এ-৩১৭ রুটে দিয়াবাড়ী চৌরাস্তা থেকে আবদুল্লাহ জেলখানা পর্যন্ত চলাচল করা রাইদা এন্টারপ্রাইজের ১১৪টি। এ-৩১৯ রুটে মিরপুর ১২ থেকে কাঁচপুর ব্রীজ পর্যন্ত চলাচল করা খাজা বাবা পরিবহন লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ৩৩ টি। এ-৩২০ রুটে চিড়িয়াখানা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করা নূর-এ-মক্কা পরিবহন লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ৪৬টি। এ-৩২৭ রুটে মিরপুর ১৪ থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করা ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস এর গাড়ির সংখ্যা ২০টি। এ-৩৩০ রুটে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করা আল-মক্কা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের গাড়ি ৫৬টি।
এ-৩৩১ রুটে নন্দনপার্ক থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলাচল করা ওয়েলকাম ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ৭৪টি। এ-৩৩৩ রুটে মিরপুর ১৪ থেকে নন্দনপার্ক পর্যন্ত চলাচল করা মোহনা পরিবহনের গাড়ির সংখ্যা ৭১টি। এ-৩৪১ রুটে সাইনবোর্ড থেকে বাইপাইল ফ্যান্টাসি পর্যন্ত চলাচল করা বিকাশ পরিবহন লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ১০৩টি। এ-৩৪৪ রুটে চিড়িয়াখানা থেকে ইকুরিয়া পর্যন্ত চলাচল করা আয়াত পরিবহনের গাড়ির সংখ্যা ৩৭টি। এ-৩৪৬ রুটে ইপিজেড থেকে নটরডেম কলেজ পর্যন্ত চলাচল করা বেস্ট শতাব্দী ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড এর সংখ্যা ৪৪টি।
এ-৩৫২ রুটে আবদুল্লাহপুর (নতুন জেলখানা) থেকে সাভার রেডিও কলোনী পর্যন্ত চলাচল করা লাব্বাইক ট্রান্সপোর্টের গাড়ির সংখ্যা ২১টি। এ-৩৫৩ রুটে মিরপুর ১২ থেকে আজিমপুর পর্যন্ত চলাচল করা স্বদেশ পরিবহন এর গাড়ির সংখ্যা ১৫টি। এ-৩৫৪ রুটে আজিমপুর থেকে নন্দনপার্ক পর্যন্ত ভিআইপি অটোমোবাইলস লিমিটেডের চলাচল করা গাড়ির সংখ্যা ৩৪টি। এ-৩৫৫ রুটে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে আজিমপুর পর্যন্ত দেওয়ান এন্টারপ্রাইজের চলাচল করা গাড়ির সংখ্যা ৩৩টি। এ-৩৬২ রুটে ধউর থেকে মদনপুর পর্যন্ত আসমানী পরিবহন লিমিটেডের চলাচল করা গাড়ির সংখ্যা ৫৪ টি।
এ-৩৬৫ রুটে নবীনগর থেকে ধউর পর্যন্ত মধুমতি পরিবহন এর চলাচল করা বাসের সংখ্যা ২০টি, এ-৩৬৬ রুটে বসিলা থেকে ধউর পর্যন্ত পরিস্থান পরিবহন এর চলাচল করা গাড়ির সংখ্যা ৪৯টি, এ-৩৬৭ রুটে ভাষানটেক থেকে নন্দনপার্ক পর্যন্ত পূর্বাচল লজিস্টিকের চলাচল করা গাড়ির সংখ্যা ৪২টি, এ-৩৬৮ রুটে সাইনবোর্ড থেকে ফ্যান্টাসি কিংডম পর্যন্ত চলাচল করা মনজিল এক্সপ্রেসের গাড়ির সংখ্যা ৫২টি, এ-৩৭৪ রুটে ভাষাণটেক থেকে ইপিজেড পর্যন্ত চলাচল করা ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেসের গাড়ির সংখ্যা ২০টি। এ-৩৭৭ রুটে ডেমরা ব্রিজ থেকে সাভার নবীনগর পর্যন্ত চলাচল করা রমজান আলী এন্টারপ্রাইজের গাড়ির সংখ্যা ৩৯টি।
এ-৩৭৮ রুটে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বসিলা পরযন্ত চলাচল করা ফাল্গুন অটোস লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ৪৩টি। এ-৩৮১ রুটে গুলিস্তান থেকে ভুলতা গাউছিয়া পর্যন্ত চলাচল করা গ্লোরী এক্সক্লোসিভ লি এর গাড়ির সংখ্যা ১০টি। এ-৩৮৪ রুটে সাইনবোর্ড থেকে নন্দনপার্ক পর্যন্ত চলাচল করা ঠিকানা এক্সপ্রেসের গাড়ির সংখ্যা ৯৭টি। এ-৩৮৬ রুটে মদনপুর থেকে নন্দনপার্ক পর্যন্ত চলাচল করা রাজধানী সুপার সার্ভিস লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ১০২টি। এ-৩৮৭ রুটে নন্দনপার্ক থেকে ভিক্টোরিয়াপার্ক পর্যন্ত চলাচল করা স্বজন পরিবহনের গাড়ির সংখ্যা ৩৬টি। এ-৩৮৯ রুটে পলাশী থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত চলাচল করা মেঘনা বোরাক ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ১২টি। এ-৩৯৮ রুটে নাভানা মোড় থেকে গুলশান ২ পর্যন্ত চলাচল করা নিটল মটরসের গাড়ির সংখ্যা ১১টি। এ-৩৯৯ রুটে আমরিকান অ্যাম্বেসি থেকে বনানীর কাকলী পর্যন্ত চলাচল করা নিটল মটরসের গাড়ির সংখ্যা ২৪টি।
এছাড়া এ-৪০৬ রুটে ঘাটারচর থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করা রজনীগন্ধা পরিবহন লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ২৩টি, এ-৪১২ রুটে চিড়িয়াখানা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলাচল করা সময় ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির গাড়ির সংখ্যা ১১টি। এ-৪১৪ রুটে উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে ঘাটারচর পর্যন্ত চলাচল করা বেস্ট শতাব্দী ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ২৯টি। এ-৪২১ রুটে সাইনবোর্ড থেকে নবীনগর পর্যন্ত চলাচল করা এম এম লাভলী পরিবহনের গাড়ির সংখ্যা ৩৯টি, এ-৪২২ রুটে কামরাঙ্গীচর থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করা কিরণমালা পরিবহন লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ৩৭টি। এ-৪২৪ রুটে সাইনবোর্ড থেকে ধউর পর্যন্ত চলাচল করা গ্রীন অনাবিল পরিবহন লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ২৬টি। এ-৪২৬ রুটে কাঁচপুর থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত চলাচল করা নীলাচল এক্সপ্রেস এর গাড়ির সংখ্যা ৩৯টি, এ-৪২৭ রুটে কমলাপুর থেকে ছোট ভাওয়াল পর্যন্ত চলাচল করা টি-৩ প্রেইভেট লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ১৮টি। এ-৪৩০ রুটে ভাওয়াল ভিটি থেকে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করা আকাশ এন্টারপ্রাইজের গাড়ির সংখ্যা ৯১টি। এ-৪৩১ রুটে চিড়িয়াখানা থেকে বান্দুরা পর্যন্ত চলাচল করা দিশারী পরিবহনের গাড়ির সংখ্যা ৯টি। এ-৪৩২ রুটে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পলাশী পর্যন্ত চলাচল করা ট্রাভেলস মার্টের গাড়ির সংখ্যা ৩০টি। এ-৪৩৬ রুটে সদরঘাট ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে বাইপাইল পর্যন্ত চলাচল করা ভিক্টর ক্লাসিক বাস মালিক সমিতির গাড়ির সংখ্যা ৮০টি।
পাশাপাশি এ-৪৩৯ রুটে খিলগাঁও খিদমা হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে ঘাটারচর পর্যন্ত চলাচল করা মিডলাইন পরিবহনের গাড়ির সংখ্যা ৪৩টি। এ-৪৪০ রুটে মিরপুর ১৪ থেকে সাভার পর্যন্ত চলাচল করা ক্যান্টনমেন্ট বাস সার্ভিস লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ২৭টি। এ-৪৪১ রুটে নন্দনপার্ক থেকে নারায়নগঞ্জ চাষাড়া পর্যন্ত চলাচল করা মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ৪৯টি। এ-৪৪৩ রুটে ফুলবাড়ীয়া থেকে ধউর পর্যন্ত চলাচল করা গাজীপুর পরিবহন এর গাড়ির সংখ্যা ২৮টি। এ-৪৪৪ রুটে ধামরাই কামালপুর থেকে ফুলবাড়িয়া পশু হাসপাতালে পর্যন্ত চলাচল করা ডি-ওয়ান ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ৪০টি।
এ-৪৫৩ রুটে চন্দ্রা থেকে মাওয়াঘাট পর্যন্ত চলাচল করা বসুমতি ট্রান্সপোর্টের গাড়ির সংখ্যা ৪৩টি। এ-৪৬০ রুটে কাকলী থেকে নতুনাবজার পর্যন্ত চলাচল করা গুলশান চাকা লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ১৭টি। এ-৪৬৫ রুটে ধউর থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলাচল করা ইকবাল এন্টারপ্রাইজের গাড়ির সংখ্যা ৩০টি। এ-৪৬৭ রুটে ডিয়াবাড়ী থেকে আজিমপুর পর্যন্ত চলাচল করা বেস্ট শতাব্দী ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ৫টি। এ-৪৭০ রুটে গুলশান ২ থেকে জিএমজি মোড় পর্যন্ত চলাচল করা গুলশান চাকা লিমিটেডের গাড়ির সংখ্যা ২০টি এবং এ-৪৮১ রুটে ডিওএইচএস থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করা ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেসের গাড়ির সংখ্যা ২০টি।
যা বলছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (উত্তর) ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ঢাকায় চলাচলকারী বাসের পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। এটা বিআরটিএর বিষয়। রুট পারমিটও তারা দেয়।’
পারমিটবিহীন বাস রাজধানীতে চলাচল করছে এ বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরাও মাঝেমধ্যে পারমিটবিহীন বাস অভিযান চালিয়ে ধরতে ধরি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পারমিটবিহীন বাস ডাম্পিং করা হয়। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন অনুযায়ী সব কিছুই চলমান আছে।’
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ঢাকা সিটিতে চলাচরকারী বাসের পারমিট দেয় বিআরটিএ। আমরা শুধু আইন অনুযায়ী শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করি।’
বিভিন্ন কোম্পানী পারমিটের চেয়ে বেশি বাস চালানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জাবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ রকম তথ্য পেলে অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিই।’
তিনি বলেন, ‘একটা কোম্পানি রেজিষ্টেশন নাম্বারের ওপর ভিত্তি করে বাসের পারমিট নেয়। ওই রেজিষ্টেশন নাম্বার ছাড়া অন্য গাড়ি চালালে অবশ্যই এর ওপর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবং প্রায়ই আমরা এ ধরণের কেস পাই।’
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন