উপরে মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে, নিচে চলাচলে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ (মিরপুর এলাকার দৃশ্য) ছবি: জীবন আহমেদসকালে অফিসগামী মানুষের রুদ্ধশ্বাস ছোটাছুটি। যানবাহন চলে কচ্ছপের গতিতে। আধা ঘণ্টার পথ যেতে লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা। সড়কে নানা পরিকল্পনার পরিবর্তন, ফ্লাইওভার নির্মাণসহ বহুমুখী প্রচেষ্টার পরও জনভোগান্তি কমছে না। নগরীর অসহনীয় যানজট কমাতে মেগা প্রকল্পের একটি মেট্রোরেল। এমআরটি-৬ প্রকল্পের আওতায় দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত সড়কে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। ২০১৭ সালে মেট্রোরেলের প্রথম পর্বের কাজ শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু হয় পরের বছর।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে উন্নয়ন কাজ চলায় বেহাল ওই সড়ক। মেট্রোরেলের কাজের জন্য শুরু থেকেই অর্ধেক রাস্তা বন্ধ করে ব্যারিকেড দেয়া হয়। এ ছাড়া স্টেশন এলাকায় নির্মাণ কাজের জন্য কোথাও কোথাও পুরো সড়কই বন্ধ করে রাখা হয়। এই অবস্থায় শুরু থেকেই দুর্ভোগ সয়ে আসছেন এই সড়কে যাতায়াতকারী লাখো মানুষ। দীর্ঘ যানজট, বৃষ্টি হলে জলজটে নাকাল হতে হচ্ছে তাদের। সড়কের এই দুর্ভোগ লাঘবে গা করছে না দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠানই। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে পরিদর্শন করে সড়ক সচল রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। এখন সিটি করপোরেশনের খুঁড়াখুঁড়ি দুর্ভোগে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
এমন অবস্থা কতোদিনে ঘুচবে তার কোনো নিশ্চয়তা মিলছে না। নিচের সড়ক সচল রেখে মেট্রোরেলের কাজ করার শর্ত থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। যখন তখন সড়ক বন্ধ, অন্যান্য সেবা সংস্থার সড়ক কেটে উন্নয়ন কাজ করায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। নির্মাণ এলাকায় খুঁড়াখুঁড়ির কারণে ধুলা, দূষণে অতিষ্ঠ মানুষ।
তালতলা এলাকায় থাকেন মাহমুদা আক্তার। চাকরির সুবাদে সপ্তাহে ৬ দিন যেতে হয় বাংলামোটরে। সড়কের যানজটে অতিষ্ঠ তিনি। মাহমুদা জানান, অনেকদিন ধরে মেট্রোরেলের কাজ চলছে। রাস্তা দুই লেন থেকে এক লেন হয়ে গেছে। এখন দুই পাশ থেকে গাড়ি আসলে জ্যাম বেধে যায়। এতে আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। প্রায়ই অফিসে যেতে দেরি হয়ে যায়।
শেওড়াপাড়া বাসিন্দা রাসেল বলেন, রাস্তায় এখন যানজট লেগেই থাকে। স্কুল-কলেজ পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। এখন আরও বেড়েছে জ্যাম। এর মধ্যে আবার মেট্রোরেলের কাজ চলছে। ফলে বড় একটি অংশ তাদের দখলে। নির্মাণকাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রাখা হচ্ছে। এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?
মাহমুদা, রাসেলের মতো মতিঝিলে অবস্থিত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন হাসান। থাকেন আগারগাঁও। যানজটের কারণে অধিকাংশ দিনই সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে পারেন না। তিনি বলেন, মেট্রোরেল চলাচল শুরু করলে অন্য পরিবহনের চাপ কমবে কীভাবে? এই যানজটের নিরসন হবে তো?
যানজটের তীব্রতায় অসন্তোষ প্রকাশ করছেন গণপরিবহনের চালকরাও। যানজটের কারণে তাদের আয় কমেছে। গত পাঁচ বছর ধরে ক্যান্টনমেন্ট থেকে মতিঝিল ট্রাস্ট পরিবহনের বাস চালান রবিন হোসেন। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের কাজের জন্য যানজটে নাকাল অবস্থা। আগে যেখানে দিনে ৬ থেকে ৭টা ট্রিপ হতো, এখন তা কমে ৪ থেকে ৫টা হয়েছে। সাভার থেকে ঢাকায় এসেছেন সেলিম। ঠিকাদারের কাজ করেন তিনি। বলেন, ফার্মগেটের এই রোডটা সবসময় জ্যাম থাকে।
মিরপুর-১০ নম্বর থেকে তালতলা পর্যন্ত সড়কের পূর্ব পাশে আগেই ওয়াসার ড্রেন বসানো হয়েছে। তখন ওই সড়কের ওই অংশ বন্ধ রাখার ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। এখন সড়কের পশ্চিম অংশে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পুরো সড়ক বন্ধ রেখে কাজ করা হচ্ছে। এক পাশ বন্ধ থাকায় সরু রাস্তা দিয়ে যানবাহন আসা যাওয়া করায় দিনের প্রায় পুরো সময়ই এখানে অসহনীয় যানজট লেগে থাকে। এত দীর্ঘ সড়ক একসঙ্গে খুঁড়ে নির্মাণকাজ করায় সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই এলাকার মানুষ।
রাসেল মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মেট্রোরেল নিয়ে প্রচুর ভোগান্তিতে আছি। এই কারণে রাস্তায় যানজট লেগে রয়েছে। দু’দিন আগেও রাস্তায় দুই ঘণ্টা মতো জ্যাম ছিল। ওই জ্যামটা লাগার কারণ মেট্রোরেল কাজের জন্য আশেপাশে গাড়ি বা যন্ত্রপাতি রাখায় ।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন হাসান। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের কাজ চললে তো যানজট হবেই। তখন তো সবারই বিপদ। জ্যাম হলে গাড়ি বন্ধ হয়ে থাকে, সময়মতো পৌঁছাতে পারি না। এর কাজ শেষ না হলে যানজটের সমস্যা থাকবেই, এটা সবার জন্যই বিপদের। যত দ্রুত কাজ শেষ হবে তত ভালো হবে।
চাকরিজীবী রুহুল আমিন বলেন, যানজটের কারণ শুধু এই মেট্রোরেল নয়, রাস্তায় গাড়ি তিন থেকে চারগুণ হয়ে গেছে। আমি মিরপুরে থাকি, এখন বাসায় যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে। শুক্র ও শনিবার রাস্তা একটু ফাঁকা থাকে, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার একটু চাপ থাকে। আগের তুলনায় বাসায় যেতে মাঝে মধ্যে কখনো ঠিক সময়ে যাই, আবার কখনো দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ সময় লাগে।
রাজধানীর তালতলায় বেসরকারি পাওয়ারপ্ল্যান্টের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছেন নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের নিচে যে রাস্তাগুলো রয়েছে সেগুলো দ্রুত উন্নয়ন করা উচিত। প্রথমত, মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে যে যানবাহনগুলো যাতায়াত করছে তার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আগারগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিল্পব বিশ্বাস। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ মেট্রোরেলের কারণে অনেক ভোগান্তিতে রয়েছেন এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
বেসরকারি চাকরিজীবী মাজেদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাঘাট কাটার কারণে প্রচুর পরিমাণে জ্যাম হচ্ছে। কিছুটা তো আমাদের সহ্য করতেই হবে, তবে জ্যামের কারণে খুব বেশি ভোগান্তিতে পড়ছি। এই রাস্তাটা কাটছে, কবে ঠিক করবে আল্লাহ জানেন। আমরা আশাবাদী মেট্রোরেলের কাজ শেষ হলে অনেকটা উপকৃত হবো।
এদিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিআইসি) তথ্য অনুযায়ী, মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশটি উদ্বোধনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে চলতি বছর ডিসেম্বরে। এই সময়ের পর এই অংশটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকা থেকে নির্মাণসামগ্রী ও মালামাল সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ উদ্বোধন করা হবে। তবে মতিঝিল-কমলাপুর পর্যন্ত নির্মাণ ও নির্মাণ-পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণসহ সবমিলিয়ে প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর।
এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, বিশ্বের যে শহরগুলোতে মানুষের ঘনত্ব বেশি সেখানে দুর্ভোগকে সহনীয় মাত্রায় রেখে দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পগুলোকে শেষ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রকল্পগুলোকে দীর্ঘায়িত করা হয়। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে এমনটা হচ্ছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের কাজ শেষ হলে একটা প্রজন্ম স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবে। কিন্তু জনসাধারণকে জিম্মি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভবিষ্যৎ নির্মাণের ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও নেই। প্রায় ৫ বছর ধরে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলছে। এখনো কয়েক বছর সময় লাগবে। এই সময়কালে প্রকল্প এলাকার পার্শ্ববর্তী বসবাস করা মানুষ নানা সমস্যায় পড়ছে। প্রকল্প দীর্ঘসূত্রিতার ফলে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতি নির্ণয় করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা প্রয়োজন এবং জনগণের টাকার স্বচ্ছ ব্যবহার প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে: মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কারণে রাজধানীতে বায়ু দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। এতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ। এ বিষয়ে হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, দূষিত বায়ু ফুসফুসের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে। এতে ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি হয়। হাঁপানি, হাঁচি, কাশি, সর্দি, নিউমোনিয়া বেড়ে যায়। টিবি, যক্ষ্মার মতো রোগও বেড়ে যায়। বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র বস্তুকণা ফুসফুসে প্রবেশ করে রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে লিভার, কিডনির মতো অঙ্গপ্রতঙ্গে অসুবিধা তৈরি করে। একইসঙ্গে ক্যান্সার জাতীয় রোগ সৃষ্টি করে। দূষিত বায়ুর জন্য ফুসফুস, গলার ক্যান্সার বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, শ্বাসতন্ত্রের অকার্যকারিতাও দেখা দেয়। এর বাইরে বাতাসে ভাসমান ধুলিকণা, কার্বন ফুসফুসের সম্প্রসারিত ও সংকুচিত হওয়ার ক্ষমতাকেও কমিয়ে দেয়। তিনি বলেন, মেট্রোরেল করা হচ্ছে মানুষের সুবিধার জন্য। এজন্য যদি পরিবেশ ও বায়ু দূষণের ফলে সাধারণ মানুষ মৃত্যুর কারণ হয় সেটা জাতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তাই পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাস্তবায়নকারী এবং তদারকি কর্তৃপক্ষ উভয়ের প্রতি আমাদের জোরালো আহ্বান তারা যেন তাদের দায়িত্ব পালন করে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মেট্রোরেল নির্মাণ ব্যয়: মেট্রোরেল প্রকল্পের পিআইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালের জুলাইয়ে অনুমোদিত উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল অর্থাৎ ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট-৬ (এমআরটি-৬) নির্মাণ প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি সাত লাখ টাকা। তবে এই ব্যয় বেড়ে এখন ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ নতুন করে মেট্রোরেলের নির্মাণব্যয় বাড়ছে ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সংশোধিত হিসাবে সরকারের পক্ষ থেকে ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা দেয়া হবে। আর জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ঋণ দেবে ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এদিকে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এক দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করতে গিয়ে পূর্ত কাজে ৭১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বৈদ্যুতিক ও মেকানিক্যাল ব্যবস্থা (ই অ্যান্ড এম) স্থাপনে ৩২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং রোলিং স্টক (ইঞ্জিন-কোচ) খাতে ৫০ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় বাড়বে। অর্থাৎ বর্ধিত অংশের জন্য ব্যয় বাড়ছে মোট এক হাজার ৮৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
মেট্রোরেলের অগ্রগতি: দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি হয়েছে ৭৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব হতে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। একইসঙ্গে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৭৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে বর্ধিত অংশের মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটারের কাজও এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
এ প্রসঙ্গে ডিএমসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিকী মানবজমিনকে বলেন, আমরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কোভিড সংক্রান্ত কোনো সমস্যা না হলে আগের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছরের ডিসেম্বরে প্রথম অংশ খুলে দেয়া হবে। এজন্য প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে। অন্য অংশের কাজও সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। সংগৃহীত ২৪টি ট্রেন সেটের মধ্যে ১২টি ট্রেন সেট ইতিমধ্যে ঢাকায় এসেছে। বর্ধিত অংশের মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত কাজও এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন