রাজধানী ঢাকায় বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। ঢাকার রাস্তায় চলেছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘ঢাকা নগর পরিবহন’। এর মাধ্যমে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরবে এবং নগরবাসীর ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ বাস রুট পাইলটিংয়ের উদ্বোধন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। আর প্রধান অতিথি হিসেবে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নগর পরিবহন উদ্বোধনকালে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি গত ১২ দিন হাসপাতালে ছিলাম। সেখানে থেকে রিলিজ হয়ে বাসায় না গিয়ে সরাসরি মন্ত্রণালয়ে এসেছি। আমি এই উদ্যোগটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমার উপস্থিতিতে সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি এই সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করলাম।’
প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার এবং ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাসসহ মোট ৫০টি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু হলো নগর পরিবহনের। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে এই উদ্যোগে মোট ১০০টি বাস যুক্ত হবে।
কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটারের এই রুটে রুট পারমিট ছাড়া কোনো বাস চলতে দেওয়া হবে না।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এই রুটের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা, সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৯ টাকা এবং প্রতি কিলোমিটার দুই টাকা ১৫ পয়সা। কেউ এক স্টেশন থেকে উঠে পরের স্টেশনে নামলে তাকে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। আবার এই সর্বনিম্ন ভাড়াতেই তিনি প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারের বেশি পথ যেতে পারবেন। যেকোনো যাত্রী ১০ টাকার সমান দূরত্ব অতিক্রম করলে তাকে পরবর্তী দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটার ২.১৫ টাকা হিসেবে ভাড়া দিতে হবে।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২০তম সভা শেষে ২৬ ডিসেম্বর থেকে নগর পরিবহন শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক রুটভিত্তিক কোম্পানির অধীনে ঢাকার গণপরিবহন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কার্যক্রম থেমে যায়, যা পুনরায় ঢাকার দুই মেয়রের নেতৃত্বে প্রাণ পেয়েছে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন