রাতে মিনি ট্রাক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে। ব্যবসায়ী বা চাকরিজীবী, যারাই স্বল্প দূরত্বে যেতে চান নেয়া হয় সানন্দে। তারপর ফাঁকা রাস্তায় গিয়ে সব কেড়ে নিয়ে, ওই ব্যক্তিকে ছুঁড়ে ফেলা হয় রাস্তায়।
গত মাসের শেষে বিমানবন্দর এলাকায় সবজি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নেমে এমন লোমহর্ষক তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক। ২৮ ডিসেম্বরের গভীর রাত। ছিনতাইয়ের পরে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয় সবজি ব্যবসায়ী আপন মিয়াকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। গুরুতর আহত হন আপন মিয়ার সাথে থাকা আরেক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম।
জানা যায়, পাইকারি সবজি কিনতে, কাওলা থেকে কারওয়ান বাজারে যেতে মিনি ট্রাকে উঠেছিলেন তারা। এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি মামলা হলে তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা। বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর সব তথ্য। ভাড়া গাড়িতে ছদ্মবেশে রাতে ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে ডাকাতরা।
বিমানবন্দর এলাকার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ৪ জন এবং একই চক্রের আরও দুজনসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়, নগদ টাকা, চাকু ও মোবাইল ফোন।
গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর, ডাকাতির শিকার আরও অনেকেই যোগাযোগ করছেন গোয়েন্দাদের সাথে। তাদেরই একজন ব্যাংক কর্মকর্তা শওকত বিন কাশেম। গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে, খিলক্ষেত থেকে তাকে মিনি ট্রাকে ওঠায়, একই চক্র। কেড়ে নেয় সর্বস্ব। তবে, ৩০০ ফুট এলাকায় লাফিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি।
গোয়েন্দারা বলছেন, রাজধানীজুড়ে রাতে টহল বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: চ্যানেল টুয়েন্টিফোর
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন