অ্যাডিলেইড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ২৫তম ওভারের ঘটনা। ভারতীয় পেসারের মোহাম্মদ সিরাজের করা ওই ওভারের পঞ্চম বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে চার হাঁকান অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার মারনাস লাবুশেন। ডেলিবারি শেষে টিভি স্ক্রিনে দেখানো হয় সিরাজের বোলিং স্পিড কত ছিল।
স্পিড-গান ক্লকের হিসাবে দেখানো হয়, ওই বলটি ঘণ্টায় ১৮১.৬ কিলোমিটার গতিতে করেছেন সিরাজ। যা দেখে রীতিমত চমকে ওঠেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সবার মনে প্রশ্ন, এটা কী করে সম্ভব? এ তো অবিশ্বাস্য কাণ্ড!
ভক্তদের অবাক হওয়ার যথেষ্ঠ কারণও ছিল। তাদের কথা- যেখানে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতির বলটিই ১৬১.৩ কিলোমিটারের, সেখানে ১৮১.৬ গতির বল তো স্বাভাবিক কোনো ঘটনা হতে পারে না।
পরে জানা গেল, স্পিড-গান ক্লক ভুল করেছে। অর্থাৎ প্রযুক্তির ত্রুটির কারণেই ভক্তদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। বাস্তবতা হলো- পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি পেসার শোয়াইব আক্তারের ১৬১.৩ কিলোমিটার গতির বোলিংয়ের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি সিরাজ।
প্রযুক্তির এই ভুলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্ত্বেই ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিভিন্ন মন্তব্য করেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনেকে নানা রকম মিম (ব্যাঙ্গাত্মক চিত্র) তৈরি করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৬১.৩ কিলোমিটার গতির বলটি করেছিলেন শোয়াইব আক্তার। কেপটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে করা পাকিস্তানের গতিতারকার বলটি আজও ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা।
অ্যাডিলেইডে প্রথম ইনিংসে ভারতকে ১৮০ রানে অলআউট করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৮৬ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ প্রথম দিনেই ১১ উইকেটের পতন হয়। দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে ৯৪ রানে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন