ছন্দটা ধরে রেখেছেন ফারজানা হক পিংকি। টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে বাংলাদেশকে টানা দ্বিতীয় জয় এনে দিয়েছেন এই ওপেনার। ৫ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটি আগামী ২ ডিসেম্বর, মিরপুর স্টেডিয়ামেই।
আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ১৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মুর্শিদা খাতুন (৬)। মুর্শিদা ফিরলেও প্রথম ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় শারমিন আক্তার সুপ্তার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের দারুণ জুটি গড়েন পিংকি। কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রান করে অবশ্য জুটিটা ভাঙেন পিংকিই।
সতীর্থর দেখানো পথে দ্রুত ফেরেন সুপ্তাও। সর্বশেষ ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা ৯৬ রানের ইনিংস খেলা ব্যাটার আজ করেন ৪৩ রান। নিগার সুলতানা জ্যোতিকে সঙ্গ দিতে নেমে দ্রুত ফেরেন ১৬ রান করা শবনম মোস্তারিও। তবে পঞ্চম উইকেটে স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান অধিনায়ক জ্যোতি।
যদিও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
66
দুই ব্যাটারের দৌড়ের মতোই জয়রথ ছুটছে বাংলাদেশের মেয়েদের। মাঝে হতাশ আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটার। ছবি : কালের কণ্ঠ, মিরপুর থেকে
দলের জয়ের জন্য যখন ১২ রান প্রয়োজন ঠিক তখনই ৪০ রানে বোল্ড হন জ্যোতি। তবে ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ২৯ রান করা স্বর্ণা।
তার সঙ্গে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিমা খাতুন।
এর আগে সিরিজে সমতায় ফেরানোর লক্ষ্যে খেলতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৯৩ রানের সংগ্রহ পায় আয়ারল্যান্ড। ৩৫ রানে দলের দুই ওপেনার আউট হলেও দলকে ২০০ ছুঁই ছুঁই স্কোর এনে দেন অ্যামি হান্টার। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ৬৮ রানে ইনিংস খেলেন দলের অধিনায়ক। উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে অবশ্য দারুণ সহায়তা করেছেন ৩৭ রান করা ওরলা প্রেনডারগাস্ট। তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষ দিকে লরা ডিলানি (৩৩) ও উনি রেমন্ড-হোয়েই (২১) অবদান রাখেন। কিন্তু হেরে যাওয়ায় তাদের অবদান কাছে আসেনি দলের। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন সুলতানা খাতুন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন