আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে গতকাল (রোববার) লিবিয়ায় পা রাখে নাইজেরিয়া ফুটবল দল। কিন্তু বিমানবন্দরেই তাদের আটকে রাখা হয় ১৫ ঘণ্টার বেশি সময়।
এই ঘটনাকে ‘অমানবিক আচরণ’ অ্যাখা দিয়ে লিবিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাইজেরিয়া। আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও জানিয়েছে তারা।
চার্টার্ড ফ্লাইটে করে রোববার বেনগাজিতে অবতরণ করার কথা ছিল সুপার ঈগলদের। কিন্তু তাদের বিমানকে আল আবরাক বিমানবন্দরে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়। যা ম্যাচ ভেন্যু থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে। সেই বিমাবন্দরটি ‘পুরোপুরি পরিত্যক্ত’।
নাইজেরিয়ার অধিনায়ক উইলিয়াম ট্রুস্ট-একোং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘দলের সবার সঙ্গে মিলে অধিনায়ক হিসেবে আমরা এই ম্যাচটি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের পয়েন্ট দিয়ে দেওয়া হোক। এমনকি নিরাপত্তার সঙ্গেও আমরা সড়কপথে আর ভ্রমণ করতে রাজি নই, এটি নিরাপদ নয় আমাদের জন্য। যদি আমরা যেতাম তাহলে আমাদের জন্য কী ধরনের হোটেল ও খাবারের ব্যবস্থা করা হতো তা কেবল কল্পনাই করতে পারি। ’
‘লিবিয়ান সরকার কোনো কারণ না দেখিয়ে বেনগাজিতে আমাদের অবতরণের অনুমোদন বাতিল করেছে। ফোন সংযোগ, খাবার কিংবা পানীয় কিছু না দিয়েই গেট বন্ধ করে বিমানবন্দরে ফেলে রেখেছে আমাদের। আমাদের মানসিকভাবে ভেঙে দিতেই এসব করেছে। ’
এমন ঘটনায় নাইজেরিয়া ও আফ্রিকার সাবেক বর্ষসেরা ফুটবলার ভিক্টোর ইকপেবা লিবিয়াকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেন। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘যদি সিএএফ তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত থাকত, তাহলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করত। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। সত্যিই দেখে আশ্চর্য হই, কে অনুমোদন দিয়েছে লিবিয়াকে ঘরের মাঠে ম্যাচ আয়োজন করার। ’
‘সুপার ঈগলদের হয়ে আমি ১০ বছর খেলেছি। কিন্তু লিবিয়ায় শেষ কয়েক ঘণ্টায় যে অভিজ্ঞতা হলো তা আগে কখনো হয়নি। একটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দরে বন্দীদের মতো আটকে রাখা হয়েছিল আমাদের। ’
নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এনএফএফ) জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আদেমোলা ওলাজাইর বলেন, ‘খেলোয়াড়রা এই ম্যাচটি আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এনএফএফ কর্মকর্তারা তাদের দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা করছেন। ’
আগামী ১৫ অক্টোবর বেনিনা শহীদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। এদিকে প্রথম লেগের ম্যাচে লিবিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে নাইজেরিয়া। তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ডি গ্রুপের শীর্ষে আছে তারা। এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে লিবিয়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন