টেস্ট সিরিজের পর এবার ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে আগামী ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে। তবে এই ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে রয়েছে সংশয়। কেননা, ভারত সফরের আগেই এই ম্যাচ ঘিরে বাংলাদেশ দলকে হুমকি দিয়েছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংগঠন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে, এমন দাবিতে এই ম্যাচটি বানচাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তারা। যার প্রেক্ষিতেই এখন ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে গোয়ালিয়রে। ম্যাচ মাঠে গড়াতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে গোয়ালিয়র পুলিশ।
এই ম্যাচ ঘিরে যখন কঠোর অবস্থানে পুলিশ। তখন বিপরীত পাশে চলছে সাজসাজ রব। উৎসবের আমেজ। কেননা, প্রায় ১৪ বছর পর গোয়ালিয়রে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে। যাকে কেন্দ্র করে গোয়ালিয়রের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে চায় স্থানীয়দের একটা বড় অংশ।
তবে ম্যাচ বানচালের কর্মসূচি থেমে নেই গোয়ালিয়রে। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দিন ‘গোয়ালিয়র বনধ’ তথা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। একই দাবিতে তারা স্টেডিয়ামে আশপাশের এলাকায় মিছিল ও সভা করেছে। যেখান থেকে কমপক্ষে ১৯ বিক্ষোভকারীকে আটকের খবর জানায় স্থানীয় পুলিশ। ম্যাচটিকে ঘিরে গোয়ালিয়রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানুষের চলাচল ও কর্মকাণ্ড সীমিত করার কথা জানিয়েছেন গোয়ালিয়রের কালেক্টর ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুচিকা চৌহান। সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল তার বরাতে জানিয়েছে, ভারতের সিভিল ডিফেন্স কোড ১৬৩ ধারার অধীনে (কর্মকাণ্ড) সংরক্ষিত আদেশ জারি করা হয়েছে। যা সক্রিয় থাকবে ৭ অক্টোবর (ম্যাচের পরদিন) পর্যন্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলো শহরে প্রতিবাদী আয়োজনে র্যালি ও কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। সে কারণে স্থানীয় পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পর্যন্ত কড়া নজর রেখেছে। যাতে এই পরিস্থিতিকে উসকে দেওয়া কোনো বার্তা, ছবি কিংবা ভিডিও কেউ ছড়াতে না পারে। এ ছাড়া সঙ্গে কোনো অস্ত্র কিংবা আঘাত করার উপযোগী বস্তু রাখাও নিষিদ্ধ। ম্যাচটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করার লক্ষ্যে পুরো শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম টাইম অব ইন্ডিয়া বলছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের জন্য শঙ্করপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা হোটেল থেকে স্টেডিয়াম এলাকা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন। ১৬০০ সদস্য আছেন নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজে। এ ছাড়া ২৬টি স্থানে ড্রপ গেইট এবঙ ১৪টি স্থানে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন