বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জার্সির টাকা আত্মসাতের অভিযোগও করলেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাত্ম ছিলেন সোহান। এবার ক্রিকেটার ও বিসিবির কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তিনি শক্ত ভূমিকায়। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট বোর্ডের স্বচ্ছ্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সবশেষ আসরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোহান বলেছেন, ‘সর্বশেষ যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি, বিসিবি থেকে বিভাগীয় দলের জন্য জার্সি বাবদ দেওয়া হতো তিন লাখ টাকার মতো। এটা আমি নিজের চোখে দেখেছি, যেহেতু ক্যাপ্টেন ছিলাম। ৩০ জন খেলোয়াড়ের জন্য জার্সি বানানো হয়েছে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে, যেটা পরার মতো না। এটার দায়িত্বে ছিলেন (বিভাগীয় দলের) সেক্রেটারি। ১৪-১৫ বছর ধরে সেই ছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই যদি এমন হয়...! পরে আমরা খেলোয়াড়েরা নিজেদের টাকা দিয়ে জার্সি বানিয়েছি। যে জার্সি বাইরে পরার মতো অবস্থা ছিল না।’
সোহান মনে করেন, নিচের দিকের ক্রিকেটারেদের আর্থিক বিষয়গুলো দেখভাল করার দায়িত্ব নিতে হবে বোর্ডকে, ‘আমি অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের আশপাশে আছি। আলহামদুলিল্লাহ, চুক্তিতে থাকায় ভালো একটা বেতন পাচ্ছি। প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ- এগুলোর অবস্থা কী? ওদের খারাপ অবস্থার দায় তো অন্য কেউ এড়াতে পারে না।’
এ সময় ঢাকা লিগে আম্পায়ারিং নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সোহান, ‘প্রিমিয়ার লিগে অনেক ক্যামেরা, মিডিয়া ফোকাস বেশি থাকে। তাই এখানে গত দুই বছর ধরে আম্পায়ারিং নিয়ে তেমন কোনও কিছু হয় না। তবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে মিডিয়া ফোকাস ও ক্যামেরা থাকে না, তাই সেখানে অনেক কিছুই হয়। যেগুলো আমরা পরে জানতে পারি।’
এদিকে দেশ সংস্কারের মতো শীর্ষ ক্রিকেট সংস্থারও সংস্কার চাচ্ছেন সাবেক ও বর্তমান অনেক ক্রিকেটার। রবিবার সংবাদ মাধ্যমকে সোহান বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা যা করেছে, সেটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার জায়গা। অবশ্যই বিসিবিতে কিছু ভালো মানুষ আছে, খেলার জগতেও কিছু ভালো মানুষ আছে। তবে কিছু মানুষকে নিয়ে আমার প্রশ্নও আছে। এমন মানুষের আসা উচিত না, যারা খেলাটাকে নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। তারা ব্যক্তিগত এজেন্ডা নিয়ে আসে। এমন মানুষের ক্রিকেটে কোনও প্রয়োজন নেই।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন