অভিনেত্রী মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মা আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ন'টায় দক্ষিণ কলকাতার নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকাই মৃত্যু হয় মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর। মৃত্যুর সময় বাড়িতে ছিলেন না মুনমুন ও তাঁর মেয়ে রাইমা, দুজনেই বিশেষ কাজে দিল্লিতে ছিলেন বলে জানা যায়। তবে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়েই তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে আসেন মুনমুন। খবর পেয়েই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। শোকজ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকালে শরীরে অস্বস্তিবোধ করেন ভরতবাবু। দ্রুত খবর যায় ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে, সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই সব শেষ। বাবাকে হারালেন মুনমুনের দুই কন্যা রিয়া ও রাইমা সেন।
এদিন মুনমুনের সঙ্গে ছিলেন বড় মেয়ে রাইমাও। একইসঙ্গে এদিন বালিগঞ্জের বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় রাইমা ও মুনমুনকে। সেসময় মুনমুন সেনের পরনে ছিল অফ হোয়াইট রঙের কো-অর্ড ড্রেস, গলায় ওড়না। কালো চশমায় এদিন চোখ ঢেকে রেখেছিলেন সুচিত্রা কন্যা। স্বভাবতই এদিন তাঁর বালিগঞ্জের বাড়িতে ছিল সাংবাদিকদের ভিড়। তবে মন ভালো ছিল না। তাই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও হট্টগোলে কিছুটা বিরক্ত হয়ে যান, কথা না বলেই ফিরে যান তিনি। সেই মুহূর্তটি উঠে এসেছে টলিউড অনলাইনের ক্যামেরায়।
ত্রিপুরার রাজ পরিবারের বংশধরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সূচিত্রা কন্যা মুনমুন সেন। স্বামীর শেষযাত্রায় মুনমুন সেন বলেন, "মনে হচ্ছে জীবন ওলটপালট হয়ে গেল। কাছের মানুষকে হারানোর যন্ত্রণা বলে বোঝানো যায় না। আজ শোকের সীমানা নেই।" জানা যাচ্ছে, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ভরত দেব বর্মার।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ছেলে ছিলেন ভরত দেব বর্মা। কোচবিহারের রাজকুমারী ছিলেন তাঁর মা ইলা দেবী। এমনকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও অন্যান্য রাজ্যের রাজ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। অভিনেত্রী মুনমুন সেনকে ১৯৭৮ সালে বিয়ে করেছিলেন ভরত দেব বর্মা। খোদ সুচিত্রা সেন দাঁড়িয়ে থেকে দুজনের বিয়ে দেন। এরপর থেকেই সুখে-দুঃখে একসঙ্গে পথ চলা শুরু। অভিনয় থেকে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশে মুনমুন পাশে পেয়েছিলেন ভরতকে। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার আর শেষরক্ষা হল না। তাদের ৪৬ বছরের দাম্পত্যে এদিন ইতি পড়ল।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন