নিজের সিনেমাকে ‘পাপমুক্ত’ দাবি করা অভিনেতা রাসেল মিয়া রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছেন তার স্ত্রী বর্ষা চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমীর আদালতে মামলার আবেদন করেন বর্ষা। পরে তা সবুজবাগ থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সবুজবাগ থানায় রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে মামলা করেন স্ত্রী সুমাইয়া আফরিন বর্ষা। সেই মামলায় রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এ মামলায় জামিনে মুক্তি পান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালে প্রথম বিয়ে-সন্তান গোপন করে তৃতীয় বিয়ে করেন অভিযুক্ত রাসেল মিয়া। এছাড়া বর্ষা চৌধুরীকে বিয়ের সময় বরের ভাষ্যমতে লেখা হয় প্রথম বিবাহ, যা আইনের ৪৯৬/৫০৬ ধারার আওতায় এ মামলাটি করা হয়। তবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি সংবাদ সম্মেলনে রাসেল মিয়া তৃতীয় বিবাহের কথা স্বীকার না করলেও দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন নিজে।
রাসেল মিয়ার মামলাটি প্রসঙ্গে বর্ষা চৌধুরী বলেন, বিয়ের সময় আমি বিধবা বলেই বিয়ের কাবিনে সিগনেচার করি। কিন্তু বরের ভাষ্যমতে, রাসেল মিয়া প্রথম বিয়ে লিখেছেন। রাসেল মিয়া শুরু থেকেই আমার সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগেও তিনি এতিম বলে পরিচয় দেন। কিন্তু এখন তার মা, বোন ও বোনজামাই সম্মুখে এসেছেন।
বর্ষা আরও বলেন, মোটা অঙ্কের টাকা আর আমার চরিত্র খারাপ দেখিয়ে জামিন নিয়েছে। কিন্তু যে ছবিগুলো আদালতে দাখিল করেছেন সেগুলো আমার শুটিং এবং বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকতায় বড় ভাইদের সঙ্গে তোলা ছবি। সেখানেও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে রাসেল মিয়া। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মিথ্যা বলে আমাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করছেন। এ নিয়ে আমি শিল্পী সমিতিসহ ডিবিতে অভিযোগ করব।
সাবেক এমপি শেখর ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে
স্ত্রীর করা প্রতারণা মামলা নিয়ে রাসেল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমি আপনার থেকে জানলাম। কাল (১৬ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছি। বাকি কথা আগামীকাল জানানোর কথা বলেন রাসেল মিয়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন