সরকারের নানামুখী প্রচেষ্টায়ও নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। বাজার মনিটরিং, বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক ছাড়, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি এ সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকার পরও বাড়ছে অনেক পণ্যের দাম। ডিম ও পেঁয়াজের দাম কমাতে সরকার গত মাসে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে, কিন্তু তাতেও বাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। উল্টো গত এক সপ্তাহে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ডিমের বিক্রয় মূল্য সরকার নির্ধারণ করে দিলেও সে মূল্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা ডজন। আসলে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সরকার যেমন অস্বস্তিতে তেমনি ক্রেতাদের অস্বস্তিও কাটছে না। মাঝে মধ্যে দু-একটি পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও বেশির ভাগ পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্নআয়ের মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। চড়া বাজারে অনেকে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ আর ক্ষোভের শেষ নেই।
তবে সবজির বাজারে এবার স্বস্তি ফিরছে। ক্রেতাদের জন্য সবজির বাজারে মিলছে সুখবর। বাজারে এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছে আগাম শীতের সবজি। এতে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে ঢেড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা কেজিতে নেমেছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা কম। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল। বাজারে ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা এবং লাউ ৮০-১০০ টাকা থেকে ৫০-৬০ টাকায় নেমেছে। কাঁচা কলার হালি ৫০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ১৬০ টাকায়, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ২৫০-২৮০ টাকার ওপরে। শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। কিছু দিনের মধ্যে সবজির দাম আরো কমে আসবে। বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দুই সপ্তাহ আগেও ডিমের বাজার ছিল অস্থির। প্রতি ডজন ডিম ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর এ ভোগ্যপণ্যটির দাম কমে ১৫০-১৫৫ টাকায় নেমেছে। তবে এ দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।
মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতা ইউসুফ আলীন বলেন, সবজির দাম কমেছে, যে কারণে এখন ডিমের দামও কমে আসছে। ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে শীতের নতুন সবজি পাচ্ছে। এদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল।
গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে
খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও। এ ছাড়া বাজারে আলুর দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বাজারে সরবরাহ বাড়ানো ও দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানির ওপর আরোপ থাকা শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। অতিবৃষ্টির কারণে চাষ বিঘ্নিত হওয়ায় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ আসতে দেরি হবে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় বেশি। এসব কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
খুচরা বাজারে ভালো মানের প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য সাধারণ মানের দেশি পেঁয়াজ আরো ১০ টাকা কমে পাওয়া যায়। গত সপ্তাহেও দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ১২৫-১৩০ টাকা। অন্যদিকে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি এখন ১১০ থেকে ১২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে। আর এক বছর আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম এখন ৩৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে দেশে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। গত এক মাসে এ দাম প্রায় ৮ শতাংশ ও এক বছরে তা ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
পেঁয়াজের আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে কৃষকের ঘরে দেশি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। অন্য বছরগুলোতে অক্টোবরের মধ্যেই মুড়িকাটা বা আগাম পেঁয়াজের আবাদ শেষ হয়ে যায়। সেই পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এবার মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের চাষে দেরি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে আরো ১৫ থেকে ২০ দিন লাগতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম অনেকটাই আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কৃষি বিপণন অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন। এ চাহিদার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশই পূরণ হয় স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে। বাকি চাহিদা আমদানি করে পূরণ করা হয়। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করে গত ৩১ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে চিঠি লিখেছে। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। ট্যারিফ কমিশন জানায়, পেঁয়াজ আমদানির অন্যতম উৎস প্রতিবেশী দেশ ভারত। সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রফতানির শর্ত শিথিল করলেও পণ্যটির ওপরে এখনো ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বহাল রেখেছে। ফলে দেশটি থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। সে কারণে পেঁয়াজ আমদানিতে থাকা ৫ শতাংশ শুল্ক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রত্যাহারের সুপারিশ করে ট্যারিফ কমিশন।
চাহিদা ও উৎপাদন তথ্যে গরমিল : কমছে না ডিমের দাম
আমদানির খবরে ডিমের দাম সামান্য কমতে শুরু করলেও ভোক্তাকে এখনো প্রতিটি ডিম ১৪ টাকা বা তারও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজারে মাছ, সবজি থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছুুর দাম চড়া হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে সস্তা প্রোটিনের উৎস হিসেবে পরিচিত ডিমের। চাহিদা বাড়লেও কিছু দিন আগে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যায় পোল্ট্রি খামার ক্ষতির মুখে পড়ে দিনে প্রায় ৫০ লাখ ডিমের উৎপাদন কমে গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এই পরিস্থিতিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যখন বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়, তখন কৃষি বিপণন অধিদফতর প্রতিটি ডিমের দাম ১১.৮৭ টাকা বেঁধে দেয়। কিন্তু তাতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না এসে উল্টো দাম আরো বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সরকার সাড়ে চার কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমদানির খবরে অবশ্য ডিমের দাম সামান্য কমতে শুরু করলেও ভোক্তাকে এখনো প্রতিটি ডিম ১৪ টাকা বা তারও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে বলে জানান খুচরা বিক্রেতারা।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন দৈনিক ডিমের চাহিদা পাঁচ কোটি পিস। পোল্ট্রি খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) হিসাবে, দেশে দৈনিক ডিমের উৎপাদন সাড়ে চার কোটি পিস। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ৫০ লাখ পিস ডিমের উৎপাদন কম হওয়ার কারণে উৎপাদন নেমেছে চার কোটিতে। তবে ডিমের উৎপাদনের ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ডিমের দৈনিক উৎপাদন ছয় কোটি ৩০ লাখ পিস। এখান থেকে ৫০ লাখ পিস উৎপাদন কমে পাঁচ কোটি ৮০ লাখ পিসে নামলেও তা দৈনিক চাহিদার তুলনায় বেশি বলে জানান কর্মকর্তারা। উৎপাদনকারীদের তথ্য ও সরকারের তথ্যের ফারাক হওয়ার প্রধান কারণ হলো, হাঁস ও কোয়েলের ডিমের হিসাব ধরা হয় না বেসরকারি হিসাবে। অথচ এ দুটি উৎস থেকে প্রতিদিন অন্তত এক কোটিরও বেশি ডিম সরবরাহ চেইনে যুক্ত হয়। কর্মকর্তারা বলেন, এই প্রেক্ষাপটে তারা ডিম আমদানির বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাদের মতে, অপ্রত্যাশিত বন্যায় যখন বাজারে মাছ, শাকসবজিসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে, সে সময় ডিমের ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে এবং সে কারণেই ডিমের বাজারে সাময়িক অস্থিরতা। তারা বলছেন, বৃষ্টি পরিস্থিতি কেটে গেলে যখন শীতের শাকসবজি বাজারে আসতে শুরু করবে, তখনই ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই ডিমের উদ্বৃত্ত উৎপাদনের হিসাব দিয়ে এলেও মাঝে মধ্যেই ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। সরকারের হিসাবে প্রায় ৮০ লাখ পিস চাহিদার বেশি উৎপাদন এবং বেসরকারি হিসাবে প্রতিদিনের চাহিদার তুলনায় অন্তত এক কোটি পিস কম ডিম উৎপাদন হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার ইনকিলাবকে বলেন, দেশে ডিমের উৎপাদন পর্যাপ্ত হলেও একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে আমদানির সুযোগ দেয়া হয়েছে। ডিম ও মুরগি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। আমাদের প্রতিদিন সব প্রকার ডিমের চাহিদা চার কোটি পিস, আর উৎপাদন আছে পাঁচ কোটি পিস। আমাদের ডিমের কোনো সংকট নেই। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের কারণে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উৎপাদন খরচের তুলনা করে বলেন, ভারতে ৫০ কেজির এক বস্তা ব্রয়লার ফিডের মূল্য দুই হাজার ৭০০ টাকা, আর লেয়ার ফিডের মূল্য এক হাজার ৮৭৫ টাকা। বিপরীতে দেশের বাজারে তৈরি স্থানীয় ফিড উৎপাদনকারীরা একই পরিমাণ ব্রয়লার ফিড সাড়ে তিন হাজার টাকা আর লেয়ার ফিড দুই হাজর ৯০০ টাকায় বিক্রি করছে। একইভাবে ভারতে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার প্রতিটির দাম ২৮ টাকা ও লেয়ারের দাম ২৫-৩০ টাকা হলেও বাংলাদেশে ব্রয়লার বাচ্চার দাম ৫০-৬০ টাকা এবং লেয়ার বাচ্চার দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। ফিডে ভারতের চেয়ে প্রতি বস্তায় ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে বাংলাদেশে। আর মুরগির বাচ্চা কেনায় ২২ থেকে ৪৫ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। তাতে দেশে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে। মুরগি ও ডিম উৎপাদনের প্রধান খরচ ফিডের দাম কমাতে পারলেই শুধু উৎপাদন খরচ কমানো যাবে। এ জন্য ডিমের বদলে ফিড ও মুরগির বাচ্চা আমদানি করে উৎপাদন খরচ কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন