লাগাতার নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতা-বিক্রেতারা। বাজার করতে একদিকে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের নাভিশ্বাস অবস্থা, অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদের লাভ হচ্ছে কম। তবে বাজারের অব্যবস্থাপনায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় এই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
মাছে ভাতে বাঙালির এখন পাতে মাছ জোগানোই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের মাছ। দোকানে দোকানে ভিড় থাকলেও পছন্দের মাছ কিনতে পারছেন না ভোক্তারা। অনেকে আবার ইলিশ কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন পাঙ্গাশ মাছ কিনে। এদিকে গরিবের মাছ খ্যাত পাঙ্গাশের দামও নিম্নবিত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে।
মাছ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। এখন মাছ পাতে ওঠানোটা দুষ্কর হয়ে যাবে আমাদের জন্য। হতাশা প্রকাশ করে আরেক ক্রেতা বলেন, আগে বলা হতো পাঙ্গাশ মাছ গরিবের মাছ। এখন কিন্তু আর পাঙ্গাশ মাছ গরিবের মাছ নেই। এটা বড়লোকের মাছই হয়ে গেছে। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, সব খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাছের দাম বাড়লেও তাদের লাভ হচ্ছে কম।
শুধু মাছই নয়, টিসিবির হিসেবে মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। দাম বাড়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই আলু-কাঁচা মরিচসহ সবজি ও সব ধরণের ডাল। ফলে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে ডাল আলু ভর্তার যোগান দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সীমিত মানুষকে। ক্রেতারা বলছেন, ডাল-আলু ভর্তা খাওয়ার সামর্থ্যও হারিয়ে যাচ্ছে দিনদিন।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ৫১টি নিত্যপণ্যের মধ্যে বছর ব্যবধানে দাম বেড়েছে ২৩টির। নিত্যপণ্যের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনে বাজার অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন ভোক্তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন