ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলায় জার্মানি ও বেলজিয়াম সংলগ্ন সীমান্তে পর্যবেক্ষণ ও তল্লাশি জোরদার করেছে।
দেশটি অভিবাসন মোকাবিলায় আগামী ছয় মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের যে-কোনো সময় তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সোমবার দক্ষিণাঞ্চলে বেলজিয়াম লংলগ্ন ইজডেন সীমান্তে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অভিবাসন ও আশ্রয় বিষয়ক মন্ত্রী মার্জোলিন ফাবার।
মার্জোলিন ফাবার কট্টর ডানপন্থির ফ্রিডম পার্টি (পিভিভি)-র সদস্য। তিনি জানিয়েছেন, নতুন সরকার অভিবাসীদের স্রোত হ্রাসে বদ্ধপরিকর।
অভিবাসন মোকাবিলায় আগামী ছয় মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের যে-কোনো সময় তল্লাশি করা হবে। আন্তর্জাতিক ট্রেনেও পর্যবেক্ষণ চলবে। তবে সাধারণ সীমান্ত পারাপারে কোনো বড় বাধা সৃষ্টি হবে না বলে জানানো হয়েছে।
সীমান্ত পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, অভিবাসন ও আশ্রয়ণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শেঞ্জেন দেশ সংলগ্ন সীমান্তে অস্থায়ী সীমান্ত পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শেঞ্জেন সীমান্ত কোডের আর্টিকেল ২৫-এর আওতায় জনশৃঙ্খলা বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি থাকলে সদস্য দেশগুলোকে অস্থায়ী সীমান্ত পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে এই উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সীমান্ত এলাকার প্রায় ৫০টি পৌর কর্তৃপক্ষ এই পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এটি সীমান্ত যাত্রীদের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
ফাবার এই পরিকল্পনার কার্যকারিতার সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, আমি এটিকে প্রতীকী রাজনীতি হিসেবে দেখছি না। সীমান্ত পুলিশ এখন আরো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফাবার।
এদিকে সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, জার্মানির মতো স্থায়ী চেকপয়েন্ট স্থাপনের মতো সক্ষমতা তাদের নেই। নেদারল্যান্ডসে প্রায় ৮৪০টি সীমান্ত ক্রসিং রয়েছে। আর এসব চেকিংয়ের জন্য মাত্র ৫০ জন অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন