টোঙ্গার প্রধানমন্ত্রী সিওসি সোভালেনি তার নেতৃত্বে পরিকল্পিত অনাস্থা ভোটের আগে আকস্মিক পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সংসদ কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির রাজপরিবারের সাথে ক্ষমতার লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। ১৯ শতকের শেষের দিক থেকে টোঙ্গায় একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র চালু আছে। দেশটির রাজপরিবার তাদের কিছু ক্ষমতা ধীরে ধীরে ত্যাগ করেছে, টোঙ্গান রাজা এবং তার সহকর্মী সম্ভ্রান্তরা যথেষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে এখনো রয়ে গেছেন। মাতাঙ্গি টোঙ্গা নিউজ ওয়েবসাইট এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার একটি লাইভ স্ট্রিমের প্রতিবেদন অনুসারে, সোভালেনি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত গলায় বলেছিলেন- "আমি সংবিধান মেনেই অবিলম্বে পদত্যাগ করব। আমি ভেবেছিলাম এই ভূমি স্বাধীন, কিন্তু এখনও দাসত্ব রয়েছে। আমি আশা করি এমন একটি সময় আসবে যখন আমরা একসাথে সবাই কাজ করব। 'সোভালেনি, যিনি ২০২১ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, সোমবার বিকেলে বিরোধী আইন প্রণেতাদের দ্বারা আনা অনাস্থা ভোটে মুখোমুখি হওয়ার আগে পদত্যাগ ঘোষণা করেন । ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্ববর্তী অনাস্থা ভোটে তিনি জয়ী হন। টোঙ্গান সংসদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী দেশের ভালোর জন্য এবং টোঙ্গাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পদত্যাগ করেছেন। টোঙ্গার বংশানুক্রমিক রাজপরিবার দেশের ২৬সদস্যের আইনসভায় নয়টি আসন দখল করে আছে। যদি তারা বিরোধীদের পাশাপাশি একটি ব্লক হিসাবে ভোট দিত, তাহলে তারা সোভালেনিকে জোর করে বিধানসভা থেকে বের করে দিত। এর আগে রাজা টুপাউ ষষ্ঠের কাছে অপমানিত হয়েছিলেন সিওসি সোভালেনি।
সোভালেনির উদ্দেশ্যে রাজা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী তার আস্থা হারিয়েছেন। সেইসময় সোভালেনি আইনের হুমকি দিয়ে বলেছিলেন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার যেকোনো পদক্ষেপ অসাংবিধানিক হবে। অবশেষে এপ্রিলে সোভালেনি পিছু হটেন। সোভালেনি ২০১৪ সালে প্রথম সংসদে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪-১৭ থেকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তারপর ২০১৯ সালে শিক্ষামন্ত্রী হন। ২০২১ সালে তিনি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত পালন করেন। অক্সফোর্ড-শিক্ষিত সোভালেনির জায়গায় নতুন কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা এখনো স্পষ্ট নয় তবে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ‘আইসকে একে দৌড়ে এগিয়ে আছেন বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্র : আলজাজিরা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন