আসাদ সরকারের পতনের পর সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) ট্যাঙ্ক। সিরিয়া ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ‘বাফার জোন’ অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো।
এছাড়া সিরিয়ার একটি রাসায়নিক অস্ত্র কারখানায় হামলাও চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। কারখানাটি আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আসাদ সরকারের পতন ঘটানো বিদ্রোহীরা কারখানাটি দখল নেবে এই অজুহাতে ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, স্থানীয় সমস্যা ইসরায়েলের দিকে যাওয়া ঠেকাতে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে, বাফার জোনে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের এই অবস্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রায় ৫১ বছর পর সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করলো ইসরায়েলি বাহিনী।
আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ান সূত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল, জেরুজালেম পোস্টসহ ইসরায়েলি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
জেরুজালেম পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে, আইডিএফ নিশ্চিত করেছে তাদের সৈন্যরা সিরিয়া সীমান্তের বাফার জোনসহ প্রতিরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
আইডিএফ আরও উল্লেখ করেছে, তারা সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ কোনো ঘটনায় জড়াবে না। এদিকে, শনিবার চ্যানেল ১২ এর সঙ্গে আলাপকালে অপর কয়েকটি সূত্র মন্তব্য করেছিল, তারা এই অঞ্চলের শান্তি প্রত্যাশা করে।
পরবর্তীতে শনিবারই আইডিএফ চিফ অব স্টাফ লে. জে সিরিয়ান সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, ‘স্থানীয় সমস্যা যেন আমাদের দিকে না আসে সে বিষয়টি নিশ্চিতে আইডিএফ পর্যবেক্ষণ করছে। সেরকম কিছু ঘটলে খুবই আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছিল, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে আইডিএফ সিরিয়া সীমান্তবর্তী গোলান মালভূমি অঞ্চল জুড়ে ইসরায়েলি সেনাদের শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাদের এ শক্তিশালীকরণ এই এলাকার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং এই এলাকার ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখতে সক্ষম করবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন