সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতন ঘটেছে। দেশ ছেড়ে অজ্ঞাত গন্তব্যে পালিয়েছেন তিনি। তবে রাজধানী দামেস্কেই আছেন আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘাজি আল-জালালি। এখন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার প্রশাসন থাকবে তাঁর হাতে।
আল-জালালি বলেছেন, ‘আমরা বিদ্রোহীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। তারাও হাত বাড়িয়েছে। দৃঢ়ভাবে বলেছি যে তারা এই দেশের কারও ক্ষতি করবে না’।
আল-জালালি আরও বলেছেন, বাড়ি কিংবা দামেস্ক ছেড়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই। সেই সঙ্গে দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম চলমান থাকার বিষয়ে নিশ্চয়তা চান তিনি।
সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবাইকে যৌক্তিকভাবে এবং দেশের জন্য চিন্তা করার আহ্বান জানাই।’তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারি সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি এক বিবৃতিতে বলেন, দামেস্কে অবস্থানরত সব বিরোধী বাহিনীকে সরকারি প্রতিষ্ঠান দখল করতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি আরও বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগপর্যন্ত এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই থাকবে।
দামেস্কে উদ্যাপনের জন্য গুলিবর্ষণ করা যাবে না বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছেন এইচটিএসের প্রধান।
বিবৃতিতে এইচটিএসের প্রধান তাঁর আইনি নামে (আহমেদ আল-শারা) সই করেছেন। এটাকে আল-কায়েদার সঙ্গে তাঁর অতীতের সম্পর্ক থেকে নিজেকে দূরে রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আজ রোববার সকালে দামেস্কে ঢুকে পড়েন বিদ্রোহীরা। এর আগে আগে বাশার আল-আসাদ দামেস্ক ছাড়েন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসির সরাসরি সম্প্রচারে বলা হয়, বাশার আল-আসাদ ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে উড়াল দিলেও তিনি কোথায় গেছেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন