ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আমিরাতে সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন ৫০ হাজার বাংলাদেশি
হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ, চেন্নাইয়ে গ্রেফতার ৫০০
ফিলিপাইন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সশস্ত্র বাহিনী শুক্রবার দক্ষিণ চীন সাগরে ম্যানিলার অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সামুদ্রিক মহড়া পরিচালনা করেছে। ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের বরাত দিয়ে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, এই মহড়ার লক্ষ্য প্রতিরক্ষা কৌশল, কৌশল এবং পদ্ধতির আন্তঃকার্যক্ষমতাকে শক্তিশালী করা।
স্কারবোরো শোল ইস্যুতে বুধবার আবারও বিবাদে জড়িয়ে পড়ে চীন ও ফিলিপাইন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার চীনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানায় ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর একদিন দিন পর আজ শুক্রবার বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে এ মহড়ার খবর জানা গেল।
এর আগে জুনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও ফিলিপাইনের নৌবাহিনীর অংশগ্রহণে দক্ষিণ চীন সাগরে দুই দিনের সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া এর আগে এপ্রিলে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নেয় ফিলিপাইন।
স্কারবোরো শোল ইস্যুতে চীন ও ফিলিপাইনের বিরোধ নতুন নয়। শুধু চলতি বছর বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ৬০তম বার কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে ম্যানিলা। আর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি অনুসারে, ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট ফারডিন্যান্ড মার্কোস জুনিয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ছিল ১৯৩তম।
স্কারবোরো শোলসহ দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশে নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে থাকে চীন। এই ইস্যুতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বেইজিংয়ের বিবাদ রয়েছে। ফিলিপাইনসহ অন্যান্য প্রতিবেশীদের দাবি, সমুদ্রে তাদের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলেও হস্তক্ষেপ করছে চীন।
তেলের বিশাল ভাণ্ডার, গ্যাসের মজুদ এবং মৎস্যসম্পদ দক্ষিণ চীন সাগরকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। চীনের অর্থনৈতিক উত্থান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব রক্ষার প্রতিযোগিতা দক্ষিণ চীন সাগরে এক বহুমুখী ক্ষমতার লড়াইকে উসকে দিয়েছে। অন্যদিকে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ; যেমন—ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই এবং তাইওয়ানও এই সংকটের সঙ্গে জড়িত।
দক্ষিণ চীন সাগর চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চীনের সামুদ্রিক বাণিজ্যের একটি প্রধান রুট এবং তাদের ‘মেরিটাইম সিল্ক রোড’ উদ্যোগের কেন্দ্রীয় উপাদান। চীন দাবি করে যে দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ তার সার্বভৌমত্বের অন্তর্ভুক্ত, যা তাদের ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ মানচিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন