আগামী ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত হতে যাচ্ছে জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের আত্মজীবনীমূলক বই। ‘ফ্রিডম: মেমোরিজ ১৯৫৪-২০২১’ নামের আত্মজীবনীতে বিভিন্ন স্মৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। বইটির প্রকাশক জার্মানির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্যান ম্যাকমিলান।
৩০টির বেশি দেশে মার্কেলের আত্মজীবনী প্রকাশিত হবে। এর এক সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্রে বইটি উন্মোচন করা হবে। ঐ অনুষ্ঠানে মার্কেলের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থাকবেন।
আত্মজীবনীর সারসংক্ষেপ গত বুধবার জার্মান সাপ্তাহিক ডি সাইট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, আত্মজীবনীতে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর ট্রাম্পকে সামলাতে তার কঠিন পরিস্থিতির বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কারবার করা সহজ নয়। ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তার আগে তিনি আবাসন ব্যবসায়ী ছিলেন। তার মানসিকতা ছিল, হয় জয় না হয় পরাজয়। এমন একজন ব্যক্তিকে কীভাবে সামলাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। ট্রাম্প যাতে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে না যান এ বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার আগে মার্কেল তাই পোপের কাছে পরামর্শ পর্যন্ত নিয়েছিলেন।
ট্রাম্প সম্পর্কে বইটিতে তিনি লিখেছেন, ‘রাজনীতিতে আসার আগে ট্রাম্প আবাসন ব্যবসায়ী ছিলেন। সে দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি সবকিছু দেখেছিলেন। তার কাছে বিষয়টি ছিল একটি জমি একবার বিক্রি করা যেতে পারে। তিনি যদি তা বিক্রি করতে না পারেন, তবে অন্য কেউ তা বিক্রি করে দেবে। তিনি এভাবেই বিশ্বকে দেখেছিলেন।’
ট্রাম্পের সঙ্গে কীভাবে কারবার করবেন, সে সম্পর্কে মার্কেল যখন পোপকে পরামর্শ দিতে বলেছিলেন, পোপ তাকে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ না ভেঙে যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত চাপ প্রয়োগ করতে থাকুন।’
১৬ বছর চ্যান্সেলর থাকার পর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময়ও ম্যার্কেল জনপ্রিয় ছিলেন। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও জার্মানির বর্তমান আর্থিক সংকটের জন্য ম্যার্কেলের সময়ে রাশিয়ার জ্বালানির উপর জার্মানির অতি নির্ভরশীলতাকে দায়ী করেন কিছু মানুষ।
তবে মার্কেল কখনো তার রাশিয়া নীতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেননি।
পুতিন সম্পর্কে মার্কেল তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, তিনি সবসময় চাইতেন তাকে গুরুত্ব দেওয়া হোক। ‘আমি তাকে এমন একজন হিসেবে অনুভব করেছি যিনি অসম্মানিত হতে চান না,’ লিখেছেন মার্কেল।
‘আপনার কাছে এটা শিশুসুলভ ও তুচ্ছ মনে হতে পারে, কিন্তু এর মানে হচ্ছে, রাশিয়া কখনোই মানচিত্র থেকে হারিয়ে যায়নি৷’
মার্কেল লিখেছেন, পুতিন তাকে একসময় ইউক্রেন নিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি সবসময় চ্যান্সেলর থাকবেন না, তখন তারা ন্যাটোতে (ইউক্রেন) যোগ দেবে। আর আমি এতে বাধা দিতে চাই।’
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন