নতুন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনোনীত করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এ ক্ষেত্রে মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওর নাম শোনা যাচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমেরিকার প্রথম লাতিনো শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে নিযুক্ত হবেন ফ্লোরিডায় জন্ম নেওয়া এই রাজনীতিবিদ।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কয়েকটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প ও রুবিওর প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেননি।
যদিও ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন বলে জানিয়েছে সূত্র ।
সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছরে চীন, ইরান, কিউবাসহ আমেরিকার ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে কথা বলেছেন রুবিও। সিনেটে শীর্ষ চীন-বিরোধী হিসেবে পরিচিত রুবিও।
৫৩ বছর বয়সি রুবিও সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত এক দশকে রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে তা পুনরুদ্ধারে জোর না দিয়ে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে মনোযোগী হওয়া।
ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় সম্ভবত সবচেয়ে কঠোর পররাষ্ট্রনীতি সমর্থনকারী প্রার্থী ছিলেন তিনি।
রুবিও ২০১৬ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান মনোনয়ন পেতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সে সময় তাদের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ হয়, যার মধ্যে ট্রাম্প রুবিওকে ‘লিটল মার্কো’ বলে আখ্যা দেন এবং রুবিও ট্রাম্পের ‘ছোট হাত’ নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। তবে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে পরবর্তী সময়ে রুবিও ট্রাম্পের প্রতি দৃঢ় সমর্থক হয়ে উঠেছেন।
সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণায়ও তার সঙ্গে প্রকাশ্যে অংশগ্রহণ করেছেন। গত কয়েক বছরে রুবিও তার কিছু অবস্থানকে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্য করেছেন।
প্রসঙ্গত, রুবিওর দাদা ১৯৬২ সালে কিউবা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। কিউবা সরকারের ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি। ট্রাম্পও একই মনোভাব পোষণ করেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র : রয়টার্স
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন