ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এক সপ্তাহও হয়নি। এর মধ্যে তাঁর সঙ্গে তিনবার কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দাবি করেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে এবার এক হয়ে এবার ইরানের হুমকির চোখে চোখ রেখেছেন তিনি।
একটি ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনা মূলত ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা ইরানের হুমকির সমস্ত উপাদান এবং এর দ্বারা সৃষ্ট বিপদের ওপর নজর রাখছি। ভবিষ্যতে শান্তি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমরা ইসরায়েলের সামনে বড় সুযোগ দেখতে পাচ্ছি।’
রোববার ইসরায়েল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনকে খুব ভালো এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন নেতানিয়াহু।
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভিডিও বার্তাটি প্রদান করেছেন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের মাটিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট রেখা দুটি ইহুদি বিদ্বেষী আক্রমণকে সংযুক্ত করেছে। এর একটি হলো হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি আক্রমণ এবং অন্যটি অপরাধমূলক সহিংসতা—আমস্টারডামের রাস্তায় ইসরায়েলি নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা।’
এদিকে আমস্টারডামের ঘটনা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘটনাকে সংযুক্ত করে প্রায় একই রকম মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’রও। তিনি বলেছেন, ‘উভয় ক্ষেত্রেই এটি একটি বিপজ্জনক ইহুদি বিদ্বেষ। এর লক্ষ্য ইহুদি এবং তাদের দেশকে অসহায় করে তোলা।’ এ দুটি ঘটনার একটি দেশের আত্মরক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করা এবং অন্যটিকে দেশের নাগরিকদের জীবনের অধিকারকে অস্বীকার করার সঙ্গে তুলনা করেছেন গিডিয়ন।
ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যে কোনো ক্ষেত্রে, আমরা নিজেদের এবং আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য যা করা দরকার তা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনোই ইতিহাসের ভয়াবহতার পুনরাবৃত্তি হতে দেব না। আমরা কখনোই আত্মসমর্পণ করব না। না ইহুদিবিদ্বেষের কাছে, না সন্ত্রাসবাদের কাছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন