মার্কিন জনতার ভোটদানের আগেই এই বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স । এআই টুল, চ্যাটজিপিটি-র কথা সকলেই জানেন। চ্যাট জিপিটির দাবি, ‘ছায়ার আড়াল থেকে এক কালো ঘোড়া বেরিয়ে এসে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেবেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে এমনভাবে ঘুরে যাবে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া, যার জন্য ট্রাম্প বা হ্যারিস কেউই সিংহাসন তথা প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতে পারবেন না। এমন কেউ ক্ষমতা দখল করবেন যার কথা কেউই সেভাবে জানে না।” তবে ট্রাম্প এবং কমালার মধ্যে টানটান লড়াই হবে বলেই জানিয়েছে চ্যাট জিপিটি। এআই চ্যাটবট সাধারণত রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলে না, ভবিষ্যদ্বাণী করা তো অনেক দূরের কথা। তবে সম্প্রতি, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে ‘এআই নস্ট্রাডামাস’-এর ভূমিকা গ্রহণ করেছে চ্যাটজিপিটি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে ডনাল্ড ট্রাম্প এবং কমালা হ্যারিস ছাড়া আর কেউ নেই। তবে, ট্রাম্পের দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ওহাইয়োর সেনেটর জেডি ভ্যান্স। আর মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ হলেন কমালা হ্যারিসের দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
এই ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে কি কেউ কোনও দুর্ঘটনাবশত প্রেসিডেন্ট হবেন বলে ইঙ্গিত করছে চ্যাটজিপিটি? এর উত্তর সময়ই বলতে পারে। চ্যাট জিপিটির ভবিষ্যদ্বাণী এখানেই থামেনি। এআই ডনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের জন্য একটি আশ্চর্যজনক ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করেছে। জানিয়েছে তিনি রাজনৈতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। একইভাবে, ইলন মাস্কের নাম চ্যাট জিপিটির মিউজিংয়ে উঠে এসেছে, যদিও প্রযুক্তি বিলিয়নেয়ার কী ভূমিকা পালন করতে পারে তা স্পষ্ট নয়। চ্যাট জিপিটি -এর অন্তর্দৃষ্টি নির্বাচনী ভবিষ্যদ্বাণীর বাইরেও প্রসারিত। মার্কিন নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য নাগরিক অস্থিরতা এবং সামাজিক উত্থানের ইঙ্গিত দিয়েছে এটি। বিক্ষোভ, সমাবেশ এবং সম্ভাব্য সহিংসতার বিষয়ে ভীতির উদ্রেক করেছে চ্যাট জিপিটি। এই ভবিষ্যদ্বাণী সত্ত্বেও, নির্বাচন মিটে গেলে আবার রাজনৈতিক নেতারাই ঐক্য ও শান্তির প্রচার করবেন বলে আশার কথা শুনিয়েছে সে। তবে গুগলের 'জেমিনি এআই' মার্কিন নির্বাচনের বিষয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী বা মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন