গত এক বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নিরলস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। আর এই যুদ্ধে ইসরাইলকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। গত কয়েক মাসে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা করেও চুক্তি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারেনি জো বাইডেনের নেতৃত্বধীন মার্কিন প্রশাসন।
ফিলিস্তিনের গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের কাছে অবশ্য এই নির্বাচন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আল জাজিরা। তাদের বেশিরভাগ বলছেন, মার্কিন নির্বাচন তাদের ভাগ্য বদল করবে না। কারণ দেশটির নীতি, ইসরাইলকে আত্মরক্ষার নামে সাহায্য করা। আবার অনেকে মনে করছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে গাজায় রক্তপাত বন্ধ হতে পারে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
দেইর আল-বালাহতে বাস্তুচ্যুত সালেহ শোনার বলেন, ‘আমেরিকান নির্বাচন কোনোভাবেই যুদ্ধকে প্রভাবিত করবে না এবং প্রভাব ফেলবে না। এটি আমেরিকান ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে তবে গাজার ফিলিস্তিনিদের নয়’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমেরিকানরা গাজার যুদ্ধে অংশীদার। শিশু, মহিলা এবং বয়স্কদের নির্মূলে তাদের দায় এড়াতে পারে না’।
আরেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মুস্তাফা আবু হামাদা বলেছেন, ‘তিনি ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে চিন্তিত’।
হামাদা নামে আরেক শরণার্থী বলেন, ‘আমরা আল্লাহর কাছে বলি, আশা করি যে এটি (মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল) ফিলিস্তিনিদের পক্ষে হবে। কারণ ফিলিস্তিনিরা ক্লান্ত এবং ভুগছে। বাইডেন চার বছর কাটিয়েছেন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কিছুই দেননি। তিনি একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এবং শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি।’
‘বাইডেন সবসময় ইসরাইলি শাসককে সমর্থন করেন। তিনি কেবল জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে কথা বলেন। যে সব ফিলিস্তিনি যারা মারা যাচ্ছে তাদের কি হবে? আমরা আমেরিকানদের বলছি, ট্রাম্প যদি সফল হন, তাহলে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি দয়া করুন’।
রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ উপত্যকায় এক বছরেরও বেশি সময়ে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৪৩,৩৪১ জনে ঠেকেছে এবং আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০২,১০৫ জনে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন