বৈরুত থেকে বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা হুগো বাচেগা জানিয়েছেন হিজবুল্লাহর জানিয়েছে নাইম কাশেম তাদের নতুন নেতা হতে যাচ্ছেন।
তিনি এখন এই গোষ্ঠীর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল। কাশেম হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। হিজবুল্লাহর যে অল্প কয়েকজন নেতা এখন জীবিত আছে তিনি তাদের একজন।
হাসান নাসরাল্লাহ গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন। শিয়া ধর্মগুরু শেখ হাসান নাসরাল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
পরে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিএদ্দিন লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহরতলীতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানায় ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ।
হিজবুল্লাহর রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী একটি শিয়া মুসলিম সংগঠন, যেটি লেবাননের সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে।
এটিকে ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ইসরাইলের বিরোধিতা করার জন্য এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিয়া শক্তি ইরান প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তখন দেশটির গৃহযুদ্ধের সময় ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন দখল করেছিল।
হিজবুল্লাহর বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অরাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনীর একটি, যেটিকে অর্থায়ন করেছে ইরান। হিজবুল্লাহর বিমান বিধ্বংসী ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ইসরায়েলের গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলেও মনে করা হয়।
সূত্র : বিবিসি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন