বৈরুত-সহ লেবাননের একাধিক অঞ্চলে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, সাধারণ লেবাননবাসী নয়, তাদের আক্রমণের লক্ষ্য কেবলমাত্র হিজবুল্লা কর্মী ও সমর্থক। কিন্তু আক্রমণের জেরে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষেরও। তাদের সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। বৈরুতের পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। এই পরিস্থিতির নিন্দা করেছে জাতিসংঘ। তারা ইসরায়েলকে এই ধ্বংসলীলা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছে।
মাটির নিচে সম্পদ
এদিকে ইসরায়েলের সেনা সোমবার একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বৈরুতে সহেল হাসপাতালের নিচে বিরাট একটি সুড়ঙ্গ আছে। বস্তুত, ওই সুড়ঙ্গের রাস্তা অন্য সুড়ঙ্গে গিয়ে মিশেছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ সোনা এবং মার্কিন ডলার মজুত করে রেখেছে হিজবুল্লা। হিজবুল্লার নেতা হাসান নাসরাল্লা সুড়ঙ্গের ভিতর ওই বাঙ্কার ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ।
ইসরায়েলের দাবি, তারা ওই বাঙ্কারটি ঘিরে রেখেছে। বিমানবাহিনী সুড়ঙ্গটির উপর কড়া নজর রেখেছে{ তবে সেখানে আক্রমণ চালানো হযনি{ কারণ, সুড়ঙ্গটি সহেল হাসপাতালের ঠিক নিচে{
দক্রিণ বৈরুতে আক্রমণ
সোমবার ইসরাযেল দাবি করেছে, দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লার অর্থৈনিতক হাবে হামলা চালানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক জাতিসংঘের অফিস জানিয়েছে, যেভাবে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে তা নিন্দনীয়। বেসামরিক সাধারণ মানুষের ভয়ংকর ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েল অবশ্য জানিয়েছে, তারা কেবলমাত্র হিজবুল্লার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উপর হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সকলকে মেনে চলতে হবে। ইসরায়েলেরও সেকথা মনে রাখা উচিত।
সাত ইসরায়েলি গ্রেপ্তার
ইসরায়েলের পুলিশ জানিয়েছে, সাতজন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা চরবৃত্তি করছিল। অভিযোগ, ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটির তথ্য পাচার করছিল ওই ইসারায়েলি নাগরিকেরা। এমার্জেন্সি সেক্টরের খবরও পাচার করা হচ্ছিল।
ইসরায়েলের পুলিশের দাবি, প্রায় দুইবছর ধরে এই কাজ তারা চালাচ্ছিল। অনেকদিন ধরেই তাদের নজরে রাখা হয়েছিল। ইরানের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগের তথ্যপ্রমাণ মিলেছে।
(রয়টার্স
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন