ইসরাইলে হামলার বর্ষপূর্তিতে ৭ অক্টোবরকে গৌরবজ্জ্বল দিবস হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ওই হামলার জের ধরে গাজায় ইসরাইলের নৃশংস আক্রমণের সূচনা হয়। এতে ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া এর জের ধরে লেবাননেও এখন হামলা করছে ইসরাইল।
কাতারভিত্তিক হামাস সদস্য খলিল আল-হায়া রোববার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, শত্রু যে মায়াজাল সৃষ্টি করেছিল, ৭ অক্টোবর তা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ব এবং এই অঞ্চলকে এর কথিত শ্রেষ্ঠত্ব ও সক্ষমতা নিয়ে অতিরঞ্জনকে ফুটিয়ে তুলেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতরে হামাসের ওই হামলায় ১,২০৫ জন নিহত হয়। এছাড়া হামাস বেশ কয়েকজনকে পণবন্দী হিসেবে নিয়ে আসে। তাদের অনেকে এখনো গাজায় রয়ে গেছে।
আল-হায়া বলেন, ৭ অক্টোবরের হামলার এক বছর পর 'সকল ফিলিস্তিনি, বিশেষ করে গাজার এবং আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের প্রতিরোধ, রক্ত ও দৃঢ়প্রত্যয় দিয়ে নতুন ইতিহাস লিখছে।'
তিনি বলেন, গাজাবাসী সেখান থেকে তাদের তাড়িয়ে দেয়ার সকল চেষ্টা ভণ্ডুল করে সেখানেই অবস্থঅন করছে। তিনি জানান, তাদেরকে গাজা থেকে সরিয়ে দিতে ইসরাইল সব ধরনের নির্যাতন, গণহত্যা ও সন্ত্রাস চালিয়েছে। কিন্তু গাজাবাসী তাতেও কাবু হয়নি।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা চলছে। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র গত নভেম্বরে এক সপ্তাহের অস্ত্রবিরতি ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।
আল-হায়া আলোচনায় হামাসের অবস্থঅন তুলে ধরে আবারো বলেন, হামাস মনে করে যে গাজায় যুদ্ধবিরতির পথে ইসরাইলই বাধা।
তিনি বলেন, 'আমরা গতকাল যা প্রত্যাখ্যান করেছি, আগামীকাল তা গ্রহণ করব না। ইসরাইল বলপ্রয়োগে আমাদের ওপর যা চাপিয়ে দিতে পারেনি, তারা আলোচনার টেবিলেও তা করতে পারবে না।
তিনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে তার ভাষায় 'দ্বৈত নীতি' ত্যাগ করার আহ্বান জানান।
সূত্র : এএফপি, রয়টার্স এবং অন্যান্য
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন