তাদের ভূখণ্ডে কোনো রাষ্ট্র সামরিক হামলা চালানোর চেষ্টা করলে বিনা দ্বিধায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার ক্ষ্যাপাটে প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কিম বলেন, ‘যদি শত্রুরা পিয়ংইয়ংয়ের ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘণ করে হামলার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা পারমাণবিক অস্ত্রসহ দখলে থাকা সব আক্রমণাত্মক শক্তি বিনা দ্বিধায় ব্যবহার করব।’
গত বুধবার পিয়ংইয়ংয়ের পশ্চিমে একটি বিশেষ বাহিনীর সামরিক প্রশিক্ষণ ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় কিম জং উন এসব কথা বলেন বলে কেসিএনএ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পিয়ংইয়ং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ‘উত্তর কোরিয়ার শাসনের অবসান’ ঘটানোর হুমকি দেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার চেষ্টা করে, তবে এটি আমাদের সামরিক বাহিনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কোরিয়া জোটের দৃঢ় এবং অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। সেই দিন উত্তর কোরিয়ার শাসনের অবসান হবে।’
এক দিন পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওই মন্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের জবাবে তাকে ‘পুতুল’ এবং ‘একজন অস্বাভাবিক মানুষ’ বলে কটাক্ষও করেছেন কিম।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। দেশটির নিজস্ব কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই। তবে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা পেয়ে থাকে।
এদিকে, ২০০৬ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। বর্তমানে নিষিদ্ধ অস্ত্র কর্মসূচির জন্য জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে দেশটি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির ছবি প্রকাশ্য আনে উত্তর কোরিয়া।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন