তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। যেখানে তিনি ফিলিস্তিনি, বিশেষ করে গাজার জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানাবেন।
শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এরদোগানের বক্তব্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে তার কঠোর সমালোচনা এবং গাজার ওপর ইসরাইলের যুদ্ধ ও সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা বারবার উঠে এসেছে।
বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের এ অধিবেশনে এরদোগান ১৪তম বারের মতো উপস্থিত থাকবেন এবং প্রথম দিনেই তিনি ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ এবং আরও বেশি দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানাবেন, বিশেষ করে যখন গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।
এরদোগান পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গুরুত্বকেও তুলে ধরবেন। তুরস্ক ইতোমধ্যেই ইসরাইলের প্রতি তার কঠোর মনোভাব জানিয়েছে এবং এরদোগান ইসরাইলের নেতৃত্বকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
তুরস্ক ইতোমধ্যেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগান অন্যান্য দেশকেও এ প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন।
এরদোগান ২০১৯ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একইভাবে একটি ফিলিস্তিনের মানচিত্র তুলে ধরে বলেছিলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের অবশিষ্ট অঞ্চলগুলোও দখল করতে চাইছে।
তিনি সে সময় বিশ্ব সংস্থাটির অকার্যকারিতার কঠোর সমালোচনা করেন এবং প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি আমরা জাতিসংঘের অধীনে ন্যায়বিচার আনতে না পারি, তবে ন্যায়বিচার কোথায় প্রতিষ্ঠিত হবে?’
এরদোগান এছাড়াও সাইপ্রাসের উত্তরাঞ্চলীয় তুর্কি প্রজাতন্ত্রের (TRNC) স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আহ্বান জানাবেন। তুরস্ক এবং TRNC দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপটির বিভক্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে রয়েছে।
জাতিসংঘ অধিবেশনের পাশাপাশি, এরদোগান অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। সূত্র: ডেইলি সাবাহ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন