লেবানন সীমান্তের কাছে ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নিহতরা হলেন- রিজার্ভড মেজর নেইল ফারসি (৪৩), এবং সার্জেন্ট টোমার কেরেন (২০)।
ইসরায়েলের এন১২ নিউজের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, নিহতদের মধ্যে একজন ড্রোনের আঘাতে এবং অন্যজন সীমান্তের ওপারে হিজবুল্লাহর নিক্ষেপ করা অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় নিহত হয়েছেন।
এদিকে লেবাননে পরপর সমন্বিত বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, লেবাননে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার খবর আসছে। এর মধ্যে আছে ওয়াকিটকি, রেডিও, ল্যাপটপ, সৌরবিদ্যুতের প্যানেল, এমনকি মোবাইল ফোনও।
কিছু গাড়ি বিস্ফোরিত হওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু গাড়িগুলো নিজস্ব ত্রুটিজনিত, নাকি এর ভেতরে থাকা কোনো যন্ত্রের কারণে (ওয়াকিটকি, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) বিস্ফোরিত হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার এক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় চার হাজার পেজার বিস্ফোরিত হয়। এর একদিন পরে ওয়াকি-টকি রেডিও, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং এমনকি সৌর প্যানেলসহ হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসগুলোর বিস্ফোরণ ঘটে।
আবিয়াদ বলেছেন, আহতদের মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি রোগী নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছে এবং ৪০০ জনের সার্জারি এবং অন্যান্য চিকিৎসার প্রয়োজন।
বিস্ফোরণগুলো মূলত রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপত্যকা, বেকা উপত্যকা এবং দক্ষিণ লেবাননে হয়, যেসব এলাকাগুলোকে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এসব অঞ্চলে হিজবুল্লাহর সদস্যরা যোগাযোগের জন্য তারহীন যন্ত্র ওয়াকিটকিগুলো ব্যবহার করতেন।
যদিও শুরু থেকে পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হিজবুল্লাহ। তবে এ পর্যন্ত ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
রয়টার্স জানায়, ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরিত যন্ত্রগুলোতে জাপানি রেডিও সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান "আইসিওএম" এবং "জাপানে তৈরি" লেবেল দেখা গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন