ক্ষমতাগ্রহণের তিন বছর পর বিশ্বের ৩৯টি দেশে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আফগানের তালিবান প্রশাসন। এ পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সরকার তালেবান প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দেয়নি। তবে চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের রাজধানীতে তালিবান প্রশাসনের রাষ্ট্রদূতদের গ্রহণ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অনেক দেশের সরকার বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বলেছে— যতক্ষণ না তারা নারী অধিকারের বিষয়ে নীতি পরিবর্তন না করে ততক্ষণ পর্যন্ত তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পথ আটকে থাকবে।
তালেবানরা বলছে, তারা ইসলামি আইন অনুযায়ী নারী অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ব্যাংকিং খাতের ওপর বিধিনিষেধ ও স্বীকৃতি না দেওয়ায় দেশটির অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আবুধাবি ও বেইজিংয়ে রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিবেশী পাকিস্তানে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সসহ বেশ কয়েকটি দূতাবাসের প্রধান হিসেবে নিজস্ব কূটনীতিক নিয়োগ দিয়েছে তালেবান। কোনো কোনো মিশনে আগের সরকারের অধীনে নিয়োগ পাওয়া কূটনীতিকরা তালেবান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করেছেন।
কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, ৩৯টি দূতাবাস ও কূটনীতিক কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে। তিনি জানান, তার মন্ত্রণালয় গত বছর তুরস্ক, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তানসহ ১১টি দেশে কয়েক ডজন কূটনীতিক নিয়োগ দিয়েছে।
এ সপ্তাহে উজবেকিস্তানে নতুন রাষ্ট্রদূত পাঠানো হবে জানিয়ে মুত্তাকি বলেন, আশা করছে রাশিয়া শিগগিরই তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেবে।
জুলাই মাসে তালেবান জানায়, তারা অন্তত ১৪টি আফগান কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে এবং ওই দূতাবাসগুলোর দেওয়া পাসপোর্ট ও ভিসাকে তারা সম্মান করবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন