ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে বলা আছে, প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি হবে। ওই সময় হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেবে। আর ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে।
তবে সমস্যা হল প্রস্তাবটির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে। আর এই ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। তবে হামাস এটি মানতে চায় না।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে বিশ্বাস করে না হামাস। এ কারণে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর আগেই তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রতি চায়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য হামাস কিছু শর্ত দিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, গাজা থেকে ইসরায়েলের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এমনকি গাজা ও মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা থেকেও ইসরায়েলি সেনাদের সরে যেতে হবে।
সংগঠনটির শর্ত, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজাকে পুনর্গঠিত করে দিতে হবে এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে।
দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গাজার বেশিরভাগ বাড়িঘর ভেড়ে গেছে। এখন সেগুলোতে মানুষের বসবাস করা সম্ভব নয়।
এছাড়া ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারেও শর্ত দিয়েছে হামাস। তারা বলেছে, ইসরায়েলের কারাগারে যেসব ‘হাইপ্রোফাইল’ বন্দি রয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে ইসরায়েল কোনও আপত্তি করতে পারবে না। যার অর্থ হামাস যে বন্দিকে চাইবে সেই বন্দিকেই মুক্তি দিতে হবে।
এদিকে, হামাসের এসব শর্তের ব্যাপারে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো জানিয়েছে, তারা প্রথমে হামাসের এই জবাবটি পর্যালোচনা করবে। এরপর এটি পাঠানো হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন