জামায়াতে ইসলামী (জেআই) করাচির প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমান ঘোষণা করেছেন, তিনি কথিত কারচুপির জন্য প্রাদেশিক পরিষদের আসনটি পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ছেড়ে দিয়েছেন।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা ‘ফরম ৪৭’ অনুযায়ী, হাফিজ নাঈম করাচির পিএস-১২৯ নম্বরধারী ওই আসনে ২৬ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফ বারির ভোট দেখানো হয়েছে ১১ হাজার ৩৫৭টি।
করাচিতে গণমাধ্যমের উদ্দেশে দেওয়া একটি বক্তব্যে জেআই নেতা হাফিজ নাঈম দাবি করেন, পিটিআই সমর্থিত সাইফ বারির ভোট পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা ‘ফরম ৪৭’-এ কম দেখানো হয়েছে। এ অবস্থায় ‘ফরম ৪৫’ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে যে ফলাফল দেখা গেছে, সেটিকে মেনে নিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন নাইম।
জামায়াতে ইসলামী নেতা বলেন, আমি এ আসনটি ছেড়ে দিচ্ছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফ বারি সত্যিকারের পদ্ধতিতে জয়ী হয়েছেন। তার ভোট ৩১ হাজার থেকে কমিয়ে ১১ হাজার দেখানো হয়েছে।
জেআই নেতা জানান, বারির ভোট হ্রাস করে নির্বাচন কমিশন ওই আসনের এমকিউএম-পি প্রার্থীর ভোট ৬ হাজার থেকে ২০ হাজারে উন্নীত করে। তারপরও আসনটিতে শেষ পর্যন্ত রানারআপ হন এমকিউএম-পি প্রার্থী।
এদিকে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আসন ছেড়ে দেওয়ায় করাচির জামায়াতে ইসলামীর প্রধান হাফিজ নাঈমের প্রশংসা করেছে পিটিআই।
কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে হাফিজ নাঈমের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে অন্য রাজনৈতিক প্রার্থীদের কাছ থেকে একই ধরনের সততা দেখানোর আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়েছে, ‘স্বচ্ছতা ছাড়া গণতন্ত্র হয় না।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন