রাশিয়া দাবি করেছে, তার সেনারা ইউক্রেনের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার দাবি পুরোপুরি সত্য নয়। তারা এক্ষেত্রে সামান্যই সাফল্য পেয়েছে।
তবে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বশেষ প্রধান ফ্ল্যাশপয়েন্ট শিল্প শহর আভদিভকা। সেটিকে ঘেরাও করে রেখেছে রুশ সেনারা। এদিকে, ইউক্রেন বলেছে, তারা শহরটিকে রাশিয়ার হামলা থেকে রক্ষা করেছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, আমাদের সেনারা দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। তারা আরও সুবিধাজনক অবস্থান দখল করছে ও ইউক্রেনের সব অঞ্চলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্তাদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে শোইগু বলেছেন, আমাদের সেনারা কার্যকর ও দৃঢ়ভাবে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে। শত্রু পক্ষের যুদ্ধের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে।
গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের বাহিনী ইউক্রেনের পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুত শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত ছোট গ্রাম ক্রোমোভের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে অন্যান্য অঞ্চলের দখল নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার এক ডিক্রি জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, দেশটির সেনা সংখ্যা ১৫ শতাংশ বাড়ানো হবে।
এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাদের নির্দেশে নাশকতার অভিযোগে রাশিয়া-ইতালির দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। মস্কোর দাবি, সন্দেহভাজন ব্যক্তি চলতি বছরের শুরুতে কিয়েভের ইন্ধনে মস্কোর রেলওয়েতে বোমা হামলা চালিয়েছিল। তাছাড়া ওই ব্যক্তি গত জুলাইয়ে দিয়াগিলেভো সামরিক বিমান ঘাঁটিতেও বোমা হামলা করেছিলেন।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত নভেম্বরের শুরুতে মস্কোর দক্ষিণ-পূর্বে রিয়াজান অঞ্চলে একটি ১৫-ক্যারেজ ট্রেন লাইনচ্যুত করার জন্য বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এফএসবির তদন্ত কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই অপরাধী রাশিয়া ও ইতালির নাগরিকত্ব নিয়ে রিয়াজান অঞ্চলের ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। আটক ব্যক্তি তার জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গত ফেব্রুয়ারিতে ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা নিয়োগ করেছিল। এরপর তিনি ইইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র লাটভিয়ার বিশেষ পরিষেবা থেকে নাশকতার প্রশিক্ষণ নেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য নাশকতামূলক কাজে তার ভূমিকা জানার জন্য তদন্ত চলছে।
সূত্র: রয়টার্স
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন