সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে ষষ্ঠ দফায় বুধবার আরও ১৬ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এর মধ্যে ১০ জন ইসরায়েলি। বাকি ছয়জনের মধ্যে চারজন থাই নাগরিক ও দু’জন রাশিয়ান।
এর বিনিময়ে কারাগার থেকে ৩০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চূড়ান্ত পর্যায়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে বুধবার রাতে মুক্ত করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলেছে ইসরায়েলি কারাগার পরিষেবা বলেছে, “রাতে ৩০ জন পুরুষ ও নারী বন্দিকে বেশ কয়েকটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
এএফপি বলছে, সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে আহেদ তামিমি নামে এক তরুণীও রয়েছেন। ২২ বছর বয়সী এই তরুণী ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। ইনস্টাগ্রাম দেওয়া এক পোস্টের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল।
ইসরায়েলের দাবি, সেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি ইসরায়েলিদের গণহত্যার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি হিটলারের কথা উল্লেখ করেছেন। অবশ্য তার পরিবার সেসময় তেমন কোনও পোস্ট দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছিল।
সেসময় তার মা নারিমানে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াই জানেন না আহেদ।
এদিকে সর্বশেষ এই কারামুক্তির পর যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১০ জনে। এছাড়া হামাস ও গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো এই চুক্তির অধীনে ৭০ ইসরায়েলিকে এবং যুদ্ধবিরতি কাঠামোর বাইরে থাকা অন্যান্য জাতীয়তার আরও প্রায় ৩০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, কারাগারের বাইরে রাতের আঁধারে চালানো তাজা গুলিতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন