রাজধানীতে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনজন খুন হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর ডেমরা, সবুজবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে এ খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বিকাশকর্মী রাশেদুল ইসলাম (২৫), কলেজছাত্র মো. রাহাত (২৪) ও গৃহবধূ পেয়ারা বেগম (৩৩)। ময়নাতদন্তের জন তাদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাশেদুল ও রাহাতের হত্যাকারী ছিনতাইকারী ও চোরকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক রয়েছেন পেয়ারা বেগমের ঘাতক স্বামী সোহরাব হাওলাদারও।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিকাশের বিক্রয়কর্মী রাশেদুল ইসলাম আজ দুপুর ১২টার দিকে ডেমরার পশ্চিম বক্সনগরে ছিনতাইকারীর গুলিতে আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে কত টাকা নিয়ে গেছে-তা জানা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
নিহত রাহাতের বন্ধু আকাশ জানান, সবুজবাগের মাদারটেক নতুন পাড়া এলাকায় সপরিবারে থাকতেন রাহাত। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাহাতদের বাড়িতে চোর ঢুকেছিল। বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেয়ে চোরকে ধাওয়া করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রাহাতকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় চোর।
আকাশ আরও জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় গতকাল রাতেই রাহাতকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু আইসিইউতে জায়গা না থাকায় অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও কোনো জায়গা না হওয়ায় আজ ভোর ৪টার দিকে ফের তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরল ইসলাম জানান, রাহাত নিহতের ঘটনায় চোরকে ধরতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নিহত পেয়ারা বেগমের ছেলে শামিম হাওলাদার জানায়, সপরিবারে তারা কামরাঙ্গীরচর এলাকার রনি মার্কেটের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকেন। শামীমের বাবা সোহরাব হাওলাদার পেশায় রিকশাচালক। আজ ভোরে তার বাবা-মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তার বাবা পেয়ারা বেগমের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পেয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন