‘আমার শহিদ ভাইয়ের এক গর্ভধারিনী মা চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বলছেন, ছেলের কবরের সন্ধান চাই। চট্টগ্রামে গিয়েছি সেখানেও ছোট্ট শিশু ইয়ানা জিজ্ঞেস করে তার ভাই কোথায়? আরেক শহিদের মা আমাকে জিজ্ঞাসা করে, তার ছেলেকে একটা গুলি করলেই তো তার জীবন চলে যেত। তার বুকে ৯টা বুলেট খুনী শেখ হাসিনা করল কেন?'
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জুলাই আন্দোলন ঘিরে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে সারজিস বলেন, পুলিশকে টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করেছে আওয়ামী সরকার। তবে দল-মত নির্বিশেষে সবাই যখন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে, তখনই শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখনো জুলাই আন্দোলন ঘিরে মামলা বাণিজ্য হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে মামলা হচ্ছে এবং টাকার বিনিময়ে মামলা তোলা হচ্ছে। এজন্য পুলিশকে সাবধান হবার আহবান জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা বলেন, এখন আগের মতো ভারতের সঙ্গে আর অসমতার সম্পর্ক নয়। কোনো ধর্ম বা জাতির নামে কেউ উগ্রবাদী কিছু করার চেষ্টা করলে সেটা সফল হতে দেব না। সবাই মিলে রুখে দেব। আমরা কাউকে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সুযোগ দেব না। ভারতের কেউ বা বাংলাদেশবিরোধী কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেনাবাহিনীকে এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান সারজিস।
প্রসঙ্গত, ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের আয়োজনে এই সমাবেশে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। পাশাপাশি, অংশ নেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি, গুম কমিশনের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন