সাভারে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে অতেচন করে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রমোদ চক্রবর্তী (৪৬) নামে এক সমবায় সমিতির পরিচালকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই সমিতির হিসাবরক্ষক। তিনি প্রমোদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযোগটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত প্রমোদ চক্রবর্তী মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার হেলাচিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাভার নামা বাজারের কাশবন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক। এ ছাড়া নিজেকে একজন চিকিৎসক বলে পরিচয় দিতেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাভারের বাজার রোডের অগ্রণী ব্যাংক ভবনের ছয়তলায় কাঁশবন নামে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি পরিচালিত হয়। সেখানে গত এক বছর ধরে হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করতেন ভুক্তভোগী। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও তার ওজন কম। এ কথা জেনে প্রমোদ চক্রবর্তী নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে মুখে খাওয়ার ভিটামিন দেন। তাছাড়া তাকে ইনজেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেন। প্রমোদের তার পরামর্শ অনুযায়ী তিন মাস ধরে ভুক্তভোগী এসব ওষুধ খেয়ে আসছিলেন। গত ৪ ডিসেম্বর প্রমোদ তাকে শেষবার ইনজেকশন নিতে বলেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ঘটনার দিন প্রমোদ আমার হাতে ইনজেকশন পুশ করেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারি প্রমোদ আমাকে ধর্ষণ করেছেন। আমি চিৎকার করলে তিনি পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি কাঁশবন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা গীতা অধিকারী সুমিতাকে জানাই। তারা দুজনে মিলে পরে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন যেন বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করি। এসব ঘটনার পর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ করেছি।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক জুয়েল মিয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন