সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে’। এই দাবিতে করা পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। বিভিন্ন অঙ্গনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরাও বিষয়টি শেয়ার করছেন। তবে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ‘ভারত কে স্পষ্ট ভাষায় বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে’ বলে মন্তব্য করেননি ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, গত ০৩ ডিসেম্বর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের করা উক্ত মন্তব্যটিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বক্তব্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত আলোচিত মন্তব্যটির অনুরূপ কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তী অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম দেশ রূপান্তরের অনলাইন সংস্করণে গত ০৩ ডিসেম্বর ‘ভারতকে বাংলাদেশের কাছে স্পষ্ট ভাষায় ক্ষমা চাইতে হবে: ইউনুছ আহমাদ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
গত ৩ ডিসেম্বর বিকেল ৩ টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তাছাড়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির ফেসবুক পেজে গত ৩ ডিসেম্বর ‘ভারত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে হাইকমিশনারদের ফিরিয়ে আনুন, বললেন ইউনুস আহমেদ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আলোচিত বক্তব্যটির ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে তাকে ‘ভারতকে বাংলাদেশের কাছে স্পষ্ট ভাষায় ক্ষমা চাইতে হবে’ শীর্ষক মন্তব্যটি করতে শোনা যায়।
সুতরাং, ইউনুছ আহমাদ নামের ভিন্ন এক ব্যক্তির ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে’ শীর্ষক মন্তব্যকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন