চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাকে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামের যুব মহিলা লীগ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের নেত্রী জিন্নাত সোহানা চৌধুরীসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে তিনটি এবং আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা হলো।
আসামিরা হলেন- চসিকের ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, যুব মহিলা লীগ নেত্রী জিন্নাত সোহানা চৌধুরী, প্রবীর চন্দ্র পাল, ছাত্রলীগ নেতা শুভ কান্তি দাশ, মিঠুন, বিজয়, সমীর কান্তি দে, অন্ত, ওমর দাশ, রুবেল সরকার, সুজন সরকার, রিপন কান্তি নাথ, মোতালেব, মো. নান্নু মিয়া ওরফে পানি নান্নু, মো. আফাং মিয়া, সাদমান ফুয়াদ, আব্দুল কাইয়ুম নিজামী, কাজী তানভির, জাহিদ হাসান, শাহাদাত আহমেদ রিফাত, আবেদীন আল মামুন, মো. মুরাদ, মানস চৌধুরী সংগ্রাম, মো. রফিক, মো. ইমরান, মোল্লা আজগর আলী, সাইমুল হক কাজেমী ও মো. শাহজাহান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, এর আগে আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন মামলা করেন। ওই মামলায় ৩১ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া গত ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি থানা পুলিশ প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করে। আইনজীবী আলিফের ভাইও একটি মামলা করেন।
গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন চিন্ময়ের অনুসারীরা। টানা কয়েক ঘণ্টার বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে আইনজীবী আলিফকে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও স্থানীদের করা ভিডিও ফুটেজে হত্যার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন