সিঙ্গেল গ্যাস গান ১১৭টি, ৩৮ মিমি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার পাঁচটি ও সিগন্যাল পিস্তল দুটি। উদ্ধার না হওয়া গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বোরের গুলি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫টি, টিয়ার গ্যাসের শেল ৮ হাজার ৮১১টি, টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড ৭৫১টি, সাউন্ড গ্রেনেড ২ হাজার ৫৬৪টি, কালার স্মোক গ্রেনেড ৭৭টি, সেভেন মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড ৩৭টি, ফ্ল্যাশ ব্যাংক গ্রেনেড ৩৬০টি, হ্যান্ড হেল্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে ৮৩টি। লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী।
গত ৫ নভেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী এলাকা থেকে ৯টি ম্যাগাজিন, পাঁচটি বিদেশি পিস্তলসহ ১৭টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে যৌথ সভায় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, থানা, ফাঁড়িসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তা উদ্ধারের চিত্র হতাশাজনক। বারবার তাগাদা দিয়েও অস্ত্র উদ্ধারে সফলতা মিলছে না। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরির শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস কালবেলাকে বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার শুধু র্যাবেরই নয়, সরকারের অগ্রাধিকার। র্যাব ইতোমধ্যে অন্তত ২৬০টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া র্যাবের খোয়া যাওয়া ৯০টি অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। যৌথ অভিযানেও র্যাব কাজ করছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান চালানো হচ্ছে।
সুন্দরবনের দস্যু ও সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। আমাদের কাজ চলছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া মাত্রই র্যাব অভিযান চালাচ্ছে।
লুটের অস্ত্র বিভিন্ন গ্যাং বা দস্যুদের হাতে থাকাটা বড় হুমকি বলে মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষক ও সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে খুন-ডাকাতির মতো ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত করতে আমরা দেখেছি। তাই গ্যাংয়ের কাছে থাকুক বা যার কাছেই থাকুক, লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার করতেই হবে। কারণ এসব অস্ত্র তারা ভালো উদ্দেশ্যে নিজেদের কাছে রাখেনি। এসব অস্ত্র উদ্ধার না করা গেলে তা আইনশৃঙ্খলার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখা দেবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন