প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন। নিয়োগ পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা থাকবে যাতে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি না হয়।'
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারার বিষয়ে আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারি, তাহলে তাদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে।
২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি জানিয়ে নাসির উদ্দীন বলেন, আমাদের নির্বাচনের ইতিহাস হচ্ছে কলঙ্কিত ইতিহাস। ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এ নির্বাচনের জন্য মানুষ গুম, খুন হত্যার শিকার হয়েছে। এ ভোটারাধিকার আদায় করতে গিয়ে গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কত হাজার হাজার মানুষ আহত হলো পঙ্গু হলো।
সামনে বড় চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে সিইসি বলেন, আগে কর্মজীবনেও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। সামনেও হয়তো অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এ এম এম নাসির উদ্দীনকে। সার্চ কমিটির কাছে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দেওয়া তালিকায় অবসরপ্রাপ্ত এই সচিবের নাম সিইসি হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এ এম এম নাসির উদ্দীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।
তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে গেছেন। নাসির উদ্দীন বিসিএস ১৯৭৯ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে চারজনকে নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন