ছাত্র-জনতার অভূত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। কিন্তু ১৫ বছর ধরে গড়ে তোলা তার অলিগার্করা এখনো বহাল তবিয়তে। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেমন হাসিনার তাবেদার আমলারা; তেমনি সেনা-পুলিশ সবখানে ওই ফ্যাসিস্টের অনুসারিরাই রয়ে গেছেন। এমনকি সওজ, রেল, এলজিইডি, জনস্থাস্থ্য, গৃহায়ন ও গণপূর্তসহ সর্বোত্রই হাসিনার অনুগতরা রয়ে গেছে। পদ্মা সেতু, যমুনা সেতুসহ সবকিছুই আওয়ামী সিন্ডিকেটের দখলে। ফলে টোলের টাকা যায় তাদের পকেটে। উন্নয়নসহ বিভিন্ন সেক্টরে এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। হাসিনার গড়া ওই ভেঙে দেয়ার এখনই সময়। অথচ ১৫ বছর ধরে গড়ে উঠা লুটপাটের সহযোগী হাসিনার অলিগার্কদের বিতাড়িত করার নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, অতীতের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের কারণে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়েছে, ছাত্র জনতা মাঠে নেমেছে, জীবন দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য এ সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এ সরকারের নিকট জনগণের প্রত্যাশা অনেক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত কেনাকাটা ও ঠিকাদার নিয়োগের ঘটনা ঘটেছে, প্রায় সবই প্রশ্নবিদ্ধ। যোগসাজশের ব্যাপক অভিযোগ আছে। এসব চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনা করা হবে।
বিগত সরকারের সময়ে দেশের সকল মেগা প্রকল্পসহ ছোট-বড় সকল কাজ হয়েছে আওয়ামী লীগের ঠিকাদারের হাত দিয়ে। আওয়ামী লীগের বাইরে কেউ কোনো কাজ পায়নি। এসব প্রকল্পের কাজে হয়েছে কোটি কোটি টাকা লুটপাট। তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু বলার সাহস ছিলো না কারোরই। ১৬ বছর আগে যারা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতেন বা তখনকার অভিজ্ঞ ঠিকাদারদের কোনো কাজ দেওয়া হতো না। এমনকি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোনো অফিসেই তাদের ঢুকতে দেয়া হতো না। তারা এই দীর্ঘ সময় ছিলেন কাজের বাইরে।
আউটসোর্সিংয়ের নামেও ঠিকাদররা গিলে খাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। পদ্মা সেতু, মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলসহ অনেক সড়ক ও সেতুতে মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ে বিপুল ব্যয় ধরে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। আর ঠিকাদার কাজ পেয়েছে কোনো প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়া। এমনকি সারা দেশের সওজ, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করেছে আওয়ামী লীগের ঠিকাদাররা। এখনো বিভিন্ন দফতরে তাদের সিন্ডিকেট কাজ করছে দাপটের সাথে। রাজধানী ঢাকার সড়ক প্রতিদিন সকালে যারা ঝাড়ু দেন তাদের থেকে শুরু করে একেবারে বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ সব কাজেই ছিলো ঠিকাদারদের দৌরাত্ম্য। আওয়ামী সিন্ডিকেটের বাইরে কোনো ঠিকাদারের কাজ করার সুযোগ ছিলো না।
শুধু মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও মেঘনা-গোমতী সেতু নয়, বড় ও মাঝারি সেতু যেগুলোতে টোল আদায় হচ্ছে সবকটিতে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। যেসব ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের সরকারে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের কাছের লোক। তাদের আধিপত্যে সেতুর টোল আদায়ে ঠিকাদারি দায়িত্ব পান তারা। আবার অনেক দরপত্র ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা উন্মুক্ত দরপত্রে অনেক কম টাকাতেই দেওয়া যেত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী, চট্টগ্রামের শাহ আমানত (কর্ণফুলী), ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জসহ দেশের ২৬টি সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠে গেলেও আদায় হচ্ছে টোল। এ টোলহার সেতু নির্মাণের পর নির্ধারণ হলেও এরপর কয়েক দফা বেড়েছে। একই সঙ্গে সেতুগুলো থেকে টোল আদায়ে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের পেছনে টোল আদায়ের সিংহভাগ চলে যাচ্ছে। রূপগঞ্জের কাঞ্চন সেতু, মেঘনা-গোমতী, চট্টগ্রামের শাহ আমানত, ঘোড়াশাল, গড়াই, দোয়ারিকা-শিকারপুর, শম্ভুগঞ্জ, মহানন্দা, মোল্লাহাট ও ধল্লা (ভাষাশহীদ রফিক সেতু), সিলেট-শেরপুরু, কুষ্টিয়া সৈয়দ মাসুদ রুমি, তুলসীখালী ও মরিচা, কাপাসিয়া ফকির মজনু শাহ সেতু, সিলেট লামাকাজী, পটুয়াখালী, দিনাজপুরের মোহনপুর, বাগেরহাটের দড়াটানা, চাঁদপুর, শেরপুরের ব্রহ্মপুত্র, সিলেট পঞ্জগঞ্জ, সিলেটের শেওলা, হযরত শাহ পরান (রহ.), পিরোজপুরের বলেশ্বর, চৌডালা ও টাঙ্গাইল হাঁটুভাঙ্গা সেতুর টোল আদায় হচ্ছে।
দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত আওয়ামী সিন্ডিকেটের কবলে সওজ, রেল, এলজিইডি, গৃহয়ন ও গণপূর্তসহ সব প্রকল্পের কাজে এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার এখনই সময়। আওয়ামী সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারের কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতা ও বার্ষিক টার্নওভারের প্রথা অব্যাহত থাকলে কোন ক্রমেই আওয়ামী সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয়। কারণ বিগতদিনে যত কাজ হয়েছে সকল কাজ পেয়েছে আওয়ামী সিন্ডিকেট। সুতরাং আওয়ামী সিন্ডিকেটের বাহিরে কারো অভিজ্ঞতা ও বার্ষিক টার্নওভার নেই। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে অবশ্যই পুরনো সকল লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। অভিজ্ঞতা ও বার্ষিক টার্নওভার প্রথা বাদ দিয়ে নতুনদের কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের মতামত নিয়ে কিভাবে নতুনদের দিয়ে কাজ করানো যায় সে বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, দরপত্র ছাড়া নিজেদের পছন্দে ঠিকাদার নিয়োগে লাভবান হয়েছে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান। সুবিধা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অবকাঠামোগুলো থেকে যে আয় হচ্ছে, তার বড় অংশ নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার। মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানিকে দরপত্র ছাড়া কাজ দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। টোল আদায়ের জন্য তারা বছরে পাবে প্রায় ৯৬ কোটি টাকা। যমুনা বহুমুখী সেতুতে বছরে মাত্র ১২ কোটি টাকায় টোল আদায় করছে চীনা কোম্পানি। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় ও সেটির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ পাঁচ বছরে কোরীয় প্রতিষ্ঠানটিকে দেবে ৭১৭ কোটি টাকা। চালুর পর এক্সপ্রেসওয়েটি থেকে এখন পর্যন্ত যে টোল আদায় হয়েছে, তার ৮০ শতাংশই চলে গেছে ঠিকাদারের পেছনে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন যত কাজ হয়েছে তার সব তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্ধারিত ঠিকাদারদের মাধ্যমে।
পদ্মা সেতুতে এখন মাসে টোল আদায় হয় গড়ে ৮০ কোটি টাকা। এর প্রায় ১৫ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায় ঠিকাদারের পেছনে। পদ্মা সেতুর মতো এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের ঠিকাদার কোরীয় প্রতিষ্ঠান কেইসি। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় হয়েছে ৩৮৮ কোটি টাকা। জুন পর্যন্ত ২০৬ কোটি টাকা বিল দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। টানেলের টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি টানেলের সম্ভাব্যতা যাচাই ও নির্মাণেরও দায়িত্বে ছিল। টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণে তাদের সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য ৬৮৪ কোটি টাকায় চুক্তি করেছে সেতু বিভাগ। চট্টগ্রামের টানেল থেকে গত সেপ্টেম্বরে টোল আদায় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ঠিকাদারের পেছনে মাসে ব্যয় প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা।
এদিকে, বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে ৩২টি ট্রেনই পরিচালনা করছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সালাউদ্দিন রিপন ও তার স্ত্রী। সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও নুরুল ইসলাম সুজনের কল্যাণে রেলের সঙ্গে অসম চুক্তি বহাল রাখতে সমর্থ্য হয়েছেন তারা। ট্রেনগুলো তাদের ইজারায় থাকলেও জ্বালানি-মেরামত-রক্ষণাবেক্ষণ সব খরচই বহন করছে রেল কর্তৃপক্ষ। শুধু প্রতি ট্রিপে কোচপ্রতি নির্ধারিত টাকা দেন ইজারাদাররা। চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে বেসরকারিভাবে পরিচালিত ২৪ ট্রেনের লিজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। লিজ নেওয়া ইজারাদারদের বিষয়টি জানাতে রেলপথ মন্ত্রণালয় গত ৩ নভেম্বর রেলওয়ের মহাপরিচালককে চিঠি দেয়। চিঠিতে জানানো হয়, রেলওয়ের সঙ্গে তাদের চুক্তি এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাতিল হয়ে যাবে। যত দ্রুত সম্ভব নতুন করে টেন্ডার দিয়ে ট্রেনগুলোকে আবার লিজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এই ২৪ ট্রেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সালাউদ্দিন রিপন ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। এই কোম্পানিগুলো প্রাথমিকভাবে চার বছরের জন্য ট্রেন পরিচালনার চুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু তারা গত এক দশকের বেশি সময় ধরে নতুন টেন্ডার ছাড়াই চুক্তির সময় বাড়িয়ে ট্রেন পরিচালনা করে আসছে। বিগত সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও রেলের অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ট্রেন পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলজিইডির ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের ঠিকাদাররা এতো বছর কাজ করেছে। কোনো কাজে কাউকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়নি। ঠিকাদারদের আওয়ামী সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে কোনো লাভ হবে না। এই সরকারকে কঠোর হাতে তাদের দমন করতে হবে। অভিজ্ঞতা ও বার্ষিক টার্নওভারের বিষয়ে শিথিলতা অবলম্ভন করতে হবে। বিগতদিনে যত কাজ হয়েছে সকল কাজ পেয়েছে আওয়ামী সিন্ডিকেট। সুতরাং এর বাহিরে কারো অভিজ্ঞতা ও বার্ষিক টার্নওভার এখন নেই। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগের সময়ের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। নতুনদের কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের মতামত নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. হাদিউজ্জামান বলেন, বিগত এক যুগে রেলে অনেক বিনিয়োগ হয়েছে। রেলওয়েকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু এ সময়ে যে বিনিয়োগ হয়েছে তা পুরোপুরি এককেন্দ্রিক। শুধু নতুন নতুন অবকাঠামো তৈরিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকায় তৈরি নতুন রেলপথ দিয়ে দিনে একটির বেশি ট্রেন চলে না। পরিকল্পনায় অদূরদর্শিতা, এককেন্দ্রিক ও অপ্রয়োজনীয় বিনিয়োগ এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিপুল বিনিয়োগ সত্ত্বেও সংস্থা হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার বদলে উল্টো পেছনে হাঁটা শুরু করেছে রেলওয়ে। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের টাকা পরিশোধ করার পরও অতিরিক্ত টাকা আদায় একদম ঠিক নয়। আর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে মানুষের যোগাযোগ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য। সেখানে সেতুর ব্যয় পরিশোধ হলেও অতিরিক্ত টোল আদায় কাম্য হতে পারে না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. শামছুল হক বলেন, টোলব্যবস্থা প্রকল্পের ব্যয় ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আজীবনের জন্য নয়। মনে রাখতে হবে, টোল চলাচলের একটা বাধা। একটা সেতু থেকে আজীবন টাকা আদায় করা হবে সেটা যৌক্তিক নয়। বর্তমান সরকারকে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখা উচিত। যেন ভবিষ্যতে এ রকম কাজ না হয়। জিটুজি পদ্ধতিতে কেনাকাটা বা ঠিকাদার নিয়োগ একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া। এতে যোগসাজশের মাধ্যমে রাজনীতিক ও প্রভাবশালী আমলাদের সুবিধা নেওয়ার সুযোগ থাকে। পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে ও টানেলের টোল আদায় এবং রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে সেটিই ঘটেছে। মেরামতের পেছনে বেশি ব্যয় না হওয়ারই কথা। এর পরও ঠিকাদারকে মেরামত বাবদ বিপুল অঙ্কের টাকা দেওয়া নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন