দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সুজন চৌধুরী (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবককে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে-এমন অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ভোর ৫টায় উপজেলার ১ নম্বর বুলাকীপুর ইউনিয়নের কুলানন্দপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ ন ম নিয়ামত উল্লাহ।
নিহত সুজন চৌধুরী কুলানন্দপুর গ্রামের হংসলাল চৌধুরীর ছেলে। অপরদিকে অভিযুক্ত স্ত্রী দুল্লী রানী। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শ্রী সিধুর মেয়ে।
নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক ৪টায় নিহত সুজনের বাবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হন।
কাজ শেষে ঘরে ফেরার সময় দেখতে পান, বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে অন্ধকারে তার ছেলের বউ দুললী রানী দাঁড়িয়ে আছে।
শ্বশুরকে দেখে সে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে। শ্বশুরের সন্দেহ হলে সে ঘরে গিয়ে দেখতে পায় তার ছেলে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।
ছেলের নাম ধরে ডাকলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তিনি চিৎকার করেন।
পরে আশপাশের বাড়ির লোকজন তার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে এবং স্ত্রীকে আটক করে।
স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত স্ত্রী দুল্লী রানীকে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত সুজনের বাবা হংসলাল বলেন, ‘আমার ছোলেক (ছেলেকে) মারা ফেলাছে। হামি ঘরের যায়া দেখি হামার সোনা খাটের উপর পড়ে আছে। হামার ব্যাটার (ছেলের) বউ ওড়না দিয়া পেঁচা হামার ব্যাটাক মারছে।
’
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ আমরা উদ্ধার করেছি। পরিবারের অভিযোগ থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। নিহতের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন