বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএন) আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার সিএমএম আদালতের একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দির জন্য বুধবার সকাল ৯টার দিকে আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। বিকাল পাঁচটার দিকে জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আবদুল্লাহ আল–মামুনের আইনজীবী জসীম হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার সকালে তাকে সিএমএম আদালতে আনা হয়েছিল। শুনেছি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। বিকালে নিয়ে যাওয়ার সময় একনজর দেখা হলেও কোনো কথা হয়নি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। এ পর্যন্ত পৃথক ১০টি মামলায় তার ৫৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ১০৭টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়েরের হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২৭ অক্টোবর তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ছাড়াও শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সরকারি আমলা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার শীর্ষ পর্যায়ের অন্তত ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ২০ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন