যশোরের মো. নাজমুল হোসেনের (৩৫) সঙ্গে ৭/৮ আগে বিয়ে হয় নাজমিনের (ছদ্মনাম)। তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক পুত্রসন্তান। তবে তিন বছর আগে নাজমুল তার স্ত্রীকে স্বপ্ন দেখিয়ে ভারতের মুম্বাই নিয়ে গিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় আদালতে গত মার্চ মাসের ১০ তারিখে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/১১ ধারায় মামলা করা হয়। সম্প্রতি তাকে উদ্ধার করেছে যশোরের পিবিআইয়ের একটি দল।
পিবিআই জানায়, মো. নাজমুল হোসেন তার স্ত্রীকে প্রলোভন দেখিয়েছিলেন, ভারতে গেলে উচ্চ বেতনে চাকরি পাওয়া যাবে। সেখানে যাওয়ার জন্য তিনি স্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করে। স্বামীর কথায় বিশ্বাস করে তার স্ত্রী ভারতে যেতে রাজি হন। তবে নাজমুল হোসেন তার স্ত্রীকে ভারতের মুম্বাই শহরে নিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
পিবিআই আরও জানায়, এ ঘটনায় পরবর্তীতে নাজমুলের স্ত্রীরের পরিবার তাকে উদ্ধারের জন্য আদালতে ১০/০৩/২০২৪ তারিখে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/১১ ধারায় মামলা করে। পরে আদালত পিবিআই যশোরকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই প্রধান মো. মোস্তফা কামাল পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান ওই ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
পিবিআই আরও জানায়, পিবিআই মানব পাচার নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় নাজমিনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনে। নাজমিন গতকাল মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন