বন্ধুদের সাথে সুন্দরবন ঘুরতে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন রিয়াদ (৩৫) ও তারিকুল ইসলাম সুমন (৩০) নামে দুই বন্ধু। সোমবার সন্ধ্যায় দাউদকান্দি থেকে প্রাইভেটকারে পাঁচ বন্ধু মিলে রওনা দেন সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। রাত তিনটার দিকে খুলনা-মাওয়া সড়কের বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার মেঝেরা গাওলা নামকস্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় রিয়াদ ও সুমন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হাবিবুর রহমান, সোহরাব হোসেন ও রাসেল আহম্মেদ আহত হয়েছেন।
রিয়াদের মৃত্যুর খবরে দাউদকান্দি পৌরসভার তুজারভাঙ্গা বেপারী বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তান হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মা পারভীন আক্তার। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার বড় রিয়াদ ইট বালুর ব্যবসা করতেন। আট বছরের মেয়ে তাহসিন ও চার বছরের ছেলে রাইয়ানকে বুকে জড়িয়ে কাদছেন সন্তান সম্ভবা স্ত্রী মৌসুমী আক্তার। তাদের কান্নায় দেখতে আসা স্বজনদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
একই দৃশ্য দেখা যায় দুর্ঘটনায় নিহত তারিকুল ইসলাম সুমনের উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের মিয়াজী বাড়িতে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিন নম্বর সুমন। বাড়িতে স্বজনদের আনাগোনা। ছেলেকে হারিয়ে মা নাসিমা বেগম নির্বাক।
বড় ভাই আল আমিন বলেন, বন্ধুদের সাথে সুন্দরবন ঘুরতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। আদরের ছোট বাইকে বিয়ে করানোর জন্য মেয়ে দেখতেছিলাম। আর এখন লাশ হয়ে ফিরছে।
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর রাতে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার মেঝের গাওলা এলাকায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই রিয়াদ ও তারিকুল ইসলাম সুমন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন— মুরাদনগর উপজেলার হাবিবুর রহমান, তিতাস উপজেলার সোহরাব হোসেন ও দাউদকান্দির রাসেল আহম্মেদ। আহত তিনজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন