চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বারইপাড়া খাল খনন কাজ পরিদর্শন করতে এসে আমি অভিযোগ পেয়েছি পূর্ব বাকলিয়াতে কিছু মানুষ এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে নানা রকম বাধা দিচ্ছেন। আমি তাদেরকে বলতে চাই যে, যদি কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কিন্তু কোনো ড্রয়িং রুম থেকে আসিনি, আমরা রাজপথ থেকেই এখানে এসেছি। কাজেই এখানে কোনো মাস্তানি-সন্ত্রাসী করে জনদুর্ভোগ করা হলে এটা কখনো বরদাস্ত করা হবে না।
রবিবার জলাবদ্ধতা নিরসনের অন্যতম প্রকল্প নতুন খাল খনন কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প সমাপ্ত হলে নগরীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে, এ কারণে এ প্রকল্প সমাপ্তের বিষয়ে আমি বদ্ধপরিকর। কাজেই এ প্রকল্পের কাজের মান ভালো হতে হবে। বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প এলাকা অত্যন্ত নয়নাভিরাম হওয়ায় এখানে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত একটা পর্যটন স্পট ইনশাআল্লাহ আমি করব। শহরের মধ্যে এ ধরনের পর্যটন স্পট হলে নাগরিকরা সুস্থ বিনোদনের একটি জায়গা পাবেন এবং এলাকায়ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে চসিক মেয়র নগরীর বাকলিয়ার কালামিয়া বাজার থেকে মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর মেয়র ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে হেঁটে হেটে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, সড়ক সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। মেয়র দুটি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের হাজিরা নেন এবং স্থানীয়দের কাছে কাজের পারফরম্যান্স জানতে চান।
এ সময় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এখন থেকে নগরের বর্জ্য রাতের বেলায় পরিস্কার করা হবে। কিন্তু পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মরতদের আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, অভিযোগ আছে, পরিচ্ছন্ন বিভাগের অনেকে কাজ না করে মাছের ব্যবসাসহ বিভিন্ন পার্টটাইম ব্যবসা করছে। আমি দেখছি কারা কারা ফাঁকি দিচ্ছে। এখানে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে দায়িত্ব আপনারা সততা ও ঈমানদারিত্বের সঙ্গে পালন করবেন। অন্যথা আমি আবারও বলছি অনেকের চাকরি নাও থাকতে পারে।
মেয়র বলেন, একটি খাল দেখলাম, এটা মনে হচ্ছে একটা ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে গেছে। সমস্ত ডাস্টবিনের ময়লা এখানে ফেলা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের রাজনৈতিক সচিব মারুফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন